আমি আর কবিতা লিখব না বলেও
লিখে ফেলি একটি মুমূর্ষু কবিতা–
জন্ম নেয়ার আগেই যারা অবিরাম
মৃত্যুযন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে, লাথি মারছে
পদ্যের চিরায়ত চোয়ালে !
পঙক্তিতে পঙক্তিতে পথ হেঁটে
প্রচণ্ড পিপাসায় আমি পান করি
কবিতার স্নিগ্ধ জল; আর মুতে দিই
তোমাদের নান্দনিক নগরিক দেয়ালে!


যেভাবে– আর দেখা হবে না বলেও
বার বার আমি তোমার কাছেই ফিরে আসি;
যেভাবে– আর ভালোবাসব না বলেও
ভালোবেসে ফেলি বাঁজপাখির ঠোঁটের মত
তোমার নাক, তাতে দুঃখ হয়ে ফুটে থাকা
নীল নাকফুল, আমি ভালোবেসে ফেলি
খয়েরি কামিজের আড়ালে ঘেমে ওঠা
তোমার শরীর, কবিতার মত স্নিগ্ধ অথচ
ক্লেদাক্ত কামনায় শিহরিত শরীর!


যেভাবে– আর মিছিলে হাঁটব না বলেও
আমি ঘুমাচ্ছন্ন স্বপ্নের ভেতর হেঁটে বেড়াই
এই নগরীর সমস্ত অলিগলি, বিড় বিড়
ঠোঁটের স্পন্দনে স্লোগান ধরি, স্তব্ধ হাওয়ায়
উড়ে বেড়ায় আমার প্রকম্পিত মগজের ভিতর
নেচে ওঠা অপ্রকৃতস্থ শব্দাবলি;
আমি জেগে উঠি, আমি আর ঘুমাতে পারি না…


হ্যাঁ, ঠিক সেভাবেই আমি কবিতার কাছে
ফিরে আসি, তার শরীরে সঁপে দিই আমার
অতৃপ্ত আত্মার নির্মেদ ইচ্ছেগুলি।


এভাবেই আমার কবিতা বেঁচে ওঠে
আমি মরে যেতে থাকি ; অথবা
আমি বেঁচে উঠি, আমার কবিতা
বুলেটবিদ্ধ রক্তাক্ত পাখি!