এই সকালেই ফুটফুটে সূর্যের আলো
শরীরে মেখে তুমি মুছে ফেলেছো রাত্রির সুগন্ধি
কে যেন বলেছিল কোথায় কবে
তুমি চিরকালই রবে সূর্যবন্দি—
অথচ আমি প্রথম থেকেই বলে আসছি
রাত্রিশেষে তুমি শুধুই আমার হবে!  
অমানিশার ঘোরতর অন্ধকার কেটে গেলে
তুমি শিরশিরে শিশিরের স্পন্দনে
হবে ঝলমলে সকাল;
আমি তোমার টলমলে ঠোঁটের স্পর্শে হব
চিরপ্রেমিক, এলোকেশী বাতাসে হব চিরমাতাল!


তোমার স্পন্দনরত রক্তিম হৃদয় যেদিন ছুঁয়েছিল
আমার সর্বগ্রাসী ক্ষুধার তীব্রতা
তোমার অবিনাশী চোখ দুটি
যেদিন হয়েছিল পাহাড়ী ঝর্না— যেদিন
সূর্যের কাতর স্পর্শে তোমার মনের উঠোনে
উঠেছিল এক আকাশ গনগনে রোদ—
অনবরত আলোর বৃষ্টিতে ধুয়ে গেল অন্ধত্ব!
শিরায় উপশিরায় দুলে উঠেছিল উষ্ণ রক্ত!
সূর্যের একফালি সোনালি ছোঁয়া পেতেই
তুমি রজনীগন্ধ্যা থেকে হয়ে গেলে সন্ধ্যাপ্রেমী সূর্যমুখী!


কে বলে তুমি চিরকালব্যাপী রবে দুঃখী?
আমি তো দেখি, তুমি অনবরত ঝলমলিয়ে হাসছো
হাসতে হাসতে তুমি আকাশের গায়ে
টুকরো টুকরো সাদা মেঘের মতো ভাসছো—
হয়তো মেঘের ঘোমটা নয়তো সুনীল পর্দা
সরিয়ে দেখি, জানলার ওপাশে সূর্যমুখী হাসে।


জানলার ওপাশে সূর্যমুখী হাসে
মেঘের ওপাশে হাসছো তুমি
জানলার ওপাশে সূর্যমুখী হাসে
বৃষ্টির ওপাশে হাসছে মরুভূমি!


জানলার ওপাশে সূর্যমুখী হাসে
ঘাসে ঘাসে প্রজাপতিগুচ্ছ
যেন তোমার নানা রঙের স্বপ্নগুলি
জানলার ওপাশে সূর্যমুখী হাসে
নিজের অজান্তেই কখন যেন
তুমি দোয়েল থেকে হয়ে গেলে বুলবুলি!


জানলার ওপাশে সূর্যমুখী হাসে
কবির চোখেমুখে লেগেছে জলরঙ
জানলার ওপাশে সূর্যমুখী হাসে
কবির পাশে আজ থেকে যাও তুমি বরং
জানলার ওপাশে বৃষ্টি নামছে
খুলে দাও তোমার বন্ধনরত চুলের বেণী!
জানলার ওপাশে কী এক ভয়ানক অসুখ নামছে
কিটসের মত ট্রাজিক প্রেমিক আমি নই, তুমিও নও 'ফ্যানি'!