আজকাল আয়নার মুখোমুখি দাঁড়ালে
নিজেকে খুব অসহায় লাগে–
মনে হয়, জলের মতন তোমার নরম বুকে
একটা ছেঁড়া পৃষ্ঠা হয়ে কেবলই ভাসছি
কিংবা পাথরের টুকরোর মতন
নিঃশব্দে ডুবে গেছি অতলে!
তবুও কিছু স্মৃতি কুয়াশার জাল ছিঁড়ে
উদ্ভাসিত রোদের মতন ঝলমলে;
মখমল স্পর্শে প্রকম্পিত হয় নিউরন–
যেন আজো আমি প্রতি সন্ধ্যায়
একটা সস্তা সিগারেট ঠোঁটে
তোমার অপেক্ষায় বসে থাকি হলগেটে
জ্যোৎস্নার বৃষ্টিতে দুটি শরীর ভেজাব বলে!


তোমার সেই প্রেম, তোমার সেই স্পর্শে
আমার জীবন ধন্য হলেও দামী হয় নি!
এমনকি, তোমার বিচ্ছেদের আগুনে পুড়েও
হতে পারি নি কোনো বিশেষ রত্ন
কিংবা বিশুদ্ধ মানুষ–
নিঃশ্বাসে শুধু ঝরে কষ্টের কার্বন
পদাঘাতে বিক্ষুব্ধ হয় পথের মাটি;
শরীরে বেকারত্বের গন্ধ লেগে আছে বলে
পৃথিবীতে কেবলই অনর্থক অন্নের অপচয়–
চতুর্দিক ঘিরে আছে এক নির্মম অক্ষমতা
আর ঘিনঘিনে অপমান!


এ এক অদ্ভুত জীবন-যাপন
এ এক হৃদয়বিদারক বেঁচে থাকা!
মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয়, হয়ে যাই অশরীরী–
সর্বক্ষণ তোমাকে হন্য হয়ে খুঁজি
বীভৎস ভুতুড়ে অন্ধকারে!