এই সকালের অনুভব, শরীরের আলিঙ্গনে শরীর
বিমুগ্ধ জানলায় হঠাৎ সতেজ রোদের চিৎকার
যেন ভেঙে চুরমার করে দিছে অবসাদের চার দেয়াল !


আমি ছিঁড়ে ফেলেছি সমস্ত ফুলের শেকল
মাতাল প্রজাপতিটা এবার দেয়ালের মায়া ছেড়ে আসুক
বসুক, ঘুরে ঘুরে উড়ে বেড়াক তোমার সুবাসিত চুলের চারপাশে ।
ঘাসে ঘাসে শিশিরের টলমল, তোমার নির্মল বুকের কুয়াশায়
মুখ লুকিয়ে আমার এই শত শত চুম্বনের বর্ষণ
যে উত্তাপ জাগিয়ে দিছে, তাতে মিছে হয়ে গেছে
গলে গলে ঝরে পড়ছে সব ঠাণ্ডা জমাট পাপবোধ
পুড়ে গেছে অনুতাপের ভেজা কাঠ !


আমি খুলে ফেলেছি সব সভ্য পোশাক
শরীরের আনাচে কানাচে প্রতিটা পল্লবে
ফুটে ওঠে রোমাঞ্চিত ঘামের কণিকা, তোমার চোখের নিঃশব্দ পলকে
যত আদিম ইশারা, ভালোবাসাবাসির স্রোতে
বিলীন হয়ে যাওয়ার পিপাসা- আমাকে আরো উন্মাদ করে দেয়
টেনে নিয়ে যায় শান্ত কুয়ার ওপারে জ্বলন্ত রক্তিম চুলার দিকে !


আগুনের অনুভবে আমি তোমাকে প্রশ্ন ছুঁড়ি--
কেন লোকে কাগজ ঘেঁটে ঘেঁটে ঠোঁটের স্পন্দনে কবিতা পড়ে ?
তোমার শরীরের পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায় কত শত শত কবিতা ফুটে আছে !
কেন লোকে শ্বাসরুদ্ধ অন্ধকার খাঁচায় কবুতর পোষে ?
তোমার চোখের নীলিমায় আজ অজস্র কবুতর ওড়ে বেড়ায় !