নাগরিক ভালোবাসার দেয়াল ঘেঁষে
যে বৃক্ষ স্বপ্নের ডালপালা মেলতে চায়
তাকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে দাও ।


তার শিকড়ে পুঁতে দাও হৃদয়ে যত রাখা আছে
কষ্টের কার্বন, সে নির্দ্বিধায় হজম করে নিবে
ভোর হলে টুপটাপ শিশিরে ভুলিয়ে দিবে
বিগত রাত্রির পাপ; বাকলে লিখে রাখো
দু'চারটে ধূসর অক্ষর কিংবা প্রিয় কোনো নাম
সে ভুলবে না, আমাদের হৃদয়ের গোপন ক্ষতের মত
বহুদিন স্তব্ধতায় আষ্টেপিষ্টে জড়িয়ে রাখবে;
তার পাতায় পাতায় মিশিয়ে দাও সব লজ্জার রঙ
সন্ধ্যা এলে বিবর্ণ মাটির তলে একে একে সব গুঁজে দিবে ।


নাগরিক ভালোবাসার চুলায়
যে বৃক্ষ স্মৃতির লাকড়ি হয়ে জ্বলতে চায়
তাকে ইচ্ছেমতো জ্বলতে দাও, পুড়তে দাও
জ্বলেপুড়ে একদিন সে প্রতিটা প্রেমহীন প্রাণে
বেঁচে থাকার নতুন উত্তাপ এনে দিবে ।