নীলিমা,  কিছু জরুরী কথা ছিল
আজ না, তুমি অন্যদিন এসো
নয়নে নীল আলো জ্বেলে
অন্য কোনো বিকেলে, নীলিমা।


আজ আমার কণ্ঠস্বর
জমাট অভিমানের শীতলতায় আড়ষ্ট;
কথা জড়িয়ে আসে– চারপাশে
তোমার স্মৃতি ছাড়া
উল্লেখযোগ্য কোনো সঙ্গী নেই।
তবুও রোজ বাতাসে কথা ভাসে
আর আগুনের ফুলকির মতো
বিন্দু বিন্দু চাপা কষ্টের উদগিরণে
ভারী হয়ে আসে শ্বাস!
রোজ না, তুমি একদিনই এসো।


যেদিন সূর্যের উষ্ণ চুম্বনে
বেদনার মেঘগুলো সব
বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়বে;
বৃষ্টি থেমে গেলে পর
ভেজা ঘাসপাতাকে দুই ডানা মেলে
প্রবল মমতায় জড়িয়ে ধরবে প্রজিপতিটা–
অতঃপর বিষণ্ণ বিকেল ঘনিয়ে
আমাদের পৃথিবীতে নামবে স্নিগ্ধ সন্ধ্যা;
সেদিন–সেই সন্ধ্যায়–
সমস্ত সংকোচ ভুলে
গোধূলির মতো ধূসর কালো খোলা চুলে
তুমি এসে আমার পাশে বোসো নীলিমা।


হাওয়ার তরঙ্গে ভাসতে থাকা সব দুঃখকথা
আমি দুই হাতের মুঠোয় আটকে
তোমার শরীরের প্রতিটা পল্লবে গেঁথে দিব;
আর নিঃশব্দে তোমার বুকে
মাথা রেখে শুনবো রক্তের আলোড়ন!


আজ না, তুমি অন্যদিন এসো;
নয়নে নীল আলো জ্বেলে
অন্য কোনো বিকেলে, নীলিমা–
নিবিড় নিস্তব্ধতায়
আমি আবার তোমায় ভালোবাসব।