এই এক জীবন হাতের মুঠোয় নিয়ে
তছনছ করে দিতে মন চায় খুব, পারি না
যেমন পারি না অভিমানের তালা ভেঙে
প্রাক্তন প্রেমিকার রাত্রিকালীন নিষ্প্রদীপ
ব্যক্তিগত ঘরে ঢুকে পড়তে! পথের কুকুরের মত
লেজ নেড়ে নেড়ে ভালোবাসা ভিক্ষা চাইতে
আজ আর আমার ভাল্লাগে না
আজ আর আমার রাম-রাবণ, এজিদ-হাসান
কোনোটাই হতে ইচ্ছে করে না, তবু আমার বুকের তলে
কেঁপে কেঁপে ওঠে একটা ভয়ানক উত্তাল 'বিষাদ-সিন্ধু'!
মস্তিষ্কের প্রতিটা সেলে জ্বলজ্বল করে জ্বলে
অতীব দুর্বোধ্য 'মেঘনাদবধ'!


আমার শুধু দরজা-জানলা বন্ধ করে
নিকোটিনপোড়া নীল ধোঁয়ায় রক্তিম ফুসফুসটাকে
জ্বালাতে জ্বালাতে ছাই করে দিতে মন চায়; তবু
মায়ের কাছে প্রতিবেলা শপথ করি, আগামী মাসে
সিগারেট ছেড়ে দিব; কেউ আমার কাছে ইমার্জেন্সি
রক্ত চাইলে আমি বলি, আমার রক্তে ভীষণ দূষণ
তাছাড়া আমি আজো জানতে পারি নি
আমার ব্যক্তিগত ব্লাডগ্রুপ, যেমন ভুলতে পারি নি
আমার প্রাক্তন, শেষ এবং একমাত্র প্রেমিকার পুরো নাম!


যদিও আমি ভুল গেছি, তার শরীরে জড়িয়ে থাকা
সবগুলো শাড়ির নকশা; যদিও আমি ব্যর্থ হয়েছি
তার দৈহিক বাগানে একটা ফুল হয়ে ফুটে উঠতে
আচ্ছা, আমি কি আজও লিখতে পেরেছি
তার আত্মার অন্তস্থলে ক্রমাগত ধ্বনিত হওয়া
কোনো কবিতা কিংবা স্লোগান?
আমি জানি না!
শুধু জানি–
সে শাড়ি, ফুল আর কবিতা খুব ভালোবাসতো
মাঝে মাঝে আমার সঙ্গে সে মিছিলে হাঁটতো!