মেঘ,
কেমন আছ তুমি?
আজ পশ্চিমের গোধূলি-আকাশে
তোমাকে দেখেই চিনতে পেরেছি,
তুমি আমার সেই হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসা—
জ্যৈষ্ঠের তপ্ত দুপুরে আমার অতিশ্রান্ত দেহ হতে
যার শীতল স্পর্শে মুছে যেত সব অবসাদ,
মিটে যেত প্রাণে জেগে থাকা সুতীব্র পিপাসা ।


তোমার কি মনে পড়ে না?—
দিঘির রুপোলি জলে যেদিন প্রথম তুমি বাসা বেঁধেছিলে—
রাজহাঁসের মত স্রোতে ভেসে ভেসে
আমি ছুটে গিয়েছি তোমার কাছে,
ক্রমাগত চুম্বনে লাল করেছি
তোমার সুকোমল গাল; লজ্জা পেয়ে
তুমি আড়ালে লুকিয়ে গেছ—
তখন তোমাতে শির ডুবিয়ে রুপোলির বুকে
এঁকেছি সবুজ প্রেমের আল্পনা ।


মেঘ, কেন অর্থহীন অভিমানে
মায়াবী এই বন্ধন ছিন্ন করে
উড়ে গেলে ওই সুদূরে? ভেবেছিলে—
সূর্যকে সঙ্গী করে আকাশের নীলিমায়
পাবে সোনালি সুখের দেখা, কিন্তু আজ?
আজ সুখের বদলে তোমার সারা শরীরে সোনালি রক্ত!


সোনালি মেঘ, চেয়ে দেখ পশ্চিম দিগন্তে—
লম্পট সূর্যটা তোমাকে নিঃসঙ্গ করে
ডুবে যাচ্ছে অন্ধকার গর্তের ভিতর!
অথচ এখনো আমি চোখভরা অশ্রু নিয়ে
দাঁড়িয়ে আছি সেই দিঘীর কূলে...