আমি পুনরায় সভ্যতার চাদর গায়ে জড়িয়ে নিলাম । কোনো বিনষ্ট বাতাসের ঘিনঘিনে ছোঁয়ায় আর আমি কেঁপে উঠব না । কিংবা ওসব দেখে লজ্জা ? ক্রোধ ? বেদনা ? কিচ্ছু না ।
ওসব আমার কাছে এখন খুব স্বাভাবিক লাগে !

মধ্য দুপুরের তপ্ত ফুটপাথে মৃত কুকুরের মত শুয়ে থাকা জীবন্ত মানুষ, ডাস্টবিনে কাক আর মাছিদের সঙ্গে অনাহারী বৃদ্ধের পৃথিবীর বাতাসে আরো একটা বেশি নিঃশ্বাস নেয়ার লড়াই, নির্জন অফিসকক্ষে বড় কর্তার হিংস্র থাবায় গার্মেন্টসকর্মীর ছিন্নভিন্ন পাজামা, কনকনে শীতের রাতে বেওয়ারিশ নগ্ন শিশুর থরথর কাঁপুনি, থাই গ্লাস বেষ্টিত উঁচু দালানে মোটা কম্বলের নীচে ঘুমন্ত ঈশ্বর... আরো কত ছবির প্রদর্শনী দেখি রোজ ।
লজ্জা ? ক্রোধ ? বেদনা ? কিংবা ‘মানুষগুলোকে বাঁচতে দাও, বাঁচতে দাও’ বলে চিৎকার ? কিচ্ছু না ।
ওসব আমার কাছে এখন খুব স্বাভাবিক লাগে !