মায়ের মুখে শুনেছি মুক্তিযুদ্ধের গল্প,
বাংলা মায়ের আত্বত্যাগের গল্প,
শুনেছি পাকিস্তানী হায়েনার বর্বরতার গল্প।
সব গল্পের কল্পে ডুবেছি আমি!
দেখেছি ২৫ শে মার্চ বাংলার বুকে নির্মম গণহত্যা!
দেখেছি বাংলার কত মা-বোনের ইজ্জতের নিলাম!
ইতিহাসের পাতাও হয়তো ডুকরে কেঁদেছে এদের লোমহর্ষক অত্যাচারে।
বাঙালির রক্ত চুষে খাওয়া শকুন ওরা!
ওদের হাত থেকে নিস্তার পায়নি মায়ের কোলের দুদ্ধ শিশু,৫ বছরের কিশোরী, কিংবা কোন বৃদ্ধা দূর্বল নারী।
বাংলার বীর সন্তানের রক্তে লাল করে দিয়েছিল এই বঙ্গের মাটি।
এখনো বাংলার বাতাসে মিশে আছে সেই রক্তের ঘ্রাণ।
চোখ বুজলেই শুনতে পাই চিৎকার, আর্তনাদ আর ধিক্কার!
কোথাও বোনের চিৎকার - বাঁচাও বাঁচাও
কোথাও মায়ের ধিক্কার - বাংলার বীর কোথায় তোরা?  দেখে যা তোদের কিশোরী বোনের ইজ্জত ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তানি হায়েনা!
কোথাও বা জ্বলে যাওয়া নর কঙ্কালের আর্তনাদ!
আমি উন্মাদ হয়ে যাই!
মনে হয় আমার এক হাতে ধূমকেতু অন্য হাতে আগ্নেয়গিরি নিয়ে ফিরে যাই ৭১ এর রণাঙ্গনে।
আর ভস্ম করে দেই সব পাকিস্তানি মানুষখেকো  হায়েনাদের।
কত অত্যাচার, কত লাঞ্ছনা,কত রক্ত,কত প্রানের বিনিময়ে পাওয়া স্বদেশ।
আমি তা স্বচক্ষে দেখেছি
আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখেছি।
আমার মায়ের অশ্রুতে দেখেছি ৭১,
বাবার গুলিবিদ্ধ বাহুতে রণক্ষেত্র,
আর ধর্ষিত বোনের হাসিতে দেখেছি স্বাধীনতা।