এখন রোজ মৃত্যুকে দেখি,'ভীতুদের মতো রোজ মরে যাই'
প্রত্যেকটা মানুষই কী ভেতরে ভেতরে ভীতু?
কপালের শিরায় রক্তের গর্জনের উষ্ণতায় মৃত্যু
বুকের ভেতর শূন্যতার নিষ্পেষণে মৃত্যু
ভবিষ্যতের কল্পনা থমকে যাওয়ায় মৃত্যু
যাদের আমরা দমিয়ে রেখেছি, তাদের স্বপ্নে;
তাদের কল্পনায় আমাদের অকাল বীভৎস মৃত্যু
পাখি আর ফুল, প্রেয়সীর ঠোঁটের ফাঁকে
জীবনানন্দের কবিতার মতো মৃত্যু আবৃত্তি হয় অহর্নিশ
যতবার হেরে যাই ততবার মৃত্যু হয় বিজয়ের
প্রত্যেকবার জন্মাই আরেকটা রোমহর্ষক মৃত্যু নিয়ে।
নিজেকে ভীতুদের ভীড়ে ঠেলে দিয়ে
নির্ভাবনায় পা ফেলি অগ্রপথিকের পায়ের চিহ্ন দেখে।
গ্রন্থিমোচনে এসে দেখি,
বারবার মৃত্যু মানে বারবার জন্ম নেয়া আর
নিরর্থক বেদনার পৃথিবীতে পুনর্বার সংগ্রামের শপথ;
ভীতুরা বারবার মরেও একবারই জন্মায়।