শুনছো ইরা,
চোখে আমার চৈত্রদুপুর, দাবদাহে মন ভীষণ পোড়া
কী চেয়েছি, বুঝলেও না
এই দুপুরের তৃষিত বুক ভেঙ্গে গেছে
তুমি এলে লাগতো জোড়া


আর কীই বা চাই, একটু এসো, নৌকোটা আজ শূন্য  বিরান
পালটা দেখো চিরকুট উড়ায়,গা ভাসাবে তোমায় পেলে
নদীর যেথায় কূল কিনারা দেখতে পাওয়া আর যাবে না;
সেথায় ভীষণ মেঘ করেছে;
তোমায় পেলে ঝড় উঠাবে, ঘূর্ণি তুলে ছুটবে তুমুল
চার কিনারে জল সাজাবে;
যাতে তোমার মন গহীনে একাগ্রতায় আমায় আনো


আনবে না তাও?
আর কীই বা চাই, তোমার কাছে তোমায় ছাড়া?
তাও দেবে না?
একটু বুঝো, তোমায় আমার ভীষণ লাগে
ভরদুপুরে, রাত গহীনে - যখন জীবন প্রবলতর হয়


শুনতে পেলে?
মেঘের আওয়াজ?
না -না তা না
তোমায় পাওয়ার আকুলতার ঘুম ভেঙ্গেছে
হাত ছোঁবে না?
অনন্ত কাল হাতড়ে ওরা তোমায় খুঁজে অন্ধকারে;
একটু যদি স্পর্শ পেতো, আর দিতো না তোমায় ছেড়ে
চোখে চোখে মাখতো তোমায়, বুকের খরায় শান্তি দিতে
তাও দেবে না?


শুনছো ইরা,
চোখ দুটো খুব তৃষিত আজ - হাত দু'টোতে আকুলতা
বুকের মধ্যে অনন্ত কাল দীর্ঘশ্বাসে শুধুই চাওয়া-
এক মানবী, শুধুই তুমি


আর কীই বা চাই, একটু এসো, নৌকোটা আজ শূন্য বিরান
পালটা দেখো চিরকুট উড়ায়, গা ভাসাবে তোমায় পেলে
নদীর যেথায় কূল কিনারা দেখতে পাওয়া আর যাবে না;
সেথায় ভীষণ মেঘ করেছে ;
তোমায় পেলে ঝড় উঠাবে, ঘূর্ণি তুলে ছুটবে তুমুল
চার কিনারে জল সাজাবে;
যাতে তোমার মন গহীনে একাগ্রতায় আমায় আনো