রাস্তা দিয়ে শত-শত মানুষ হাঁটছে
কেউ হাঁটতে হাঁটতে মোবাইল ফোনে ঢুকে যাচ্ছে;
কেউ কেউ আকাশের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে নর্দমায় ডোবে;
নর্দনায় নর্দমায় গত প্রজন্মের নষ্ট কনডমের লুব্রিকেট খুঁজে;
খুঁজে রাজনৈতিকগণের এখানে ওখানে মেখে একটা চাকরি জুটায়;
তারপর বউ নিয়ে সংসার পাতে;
সেসব সংসারে আবার তৈলবান জন্মায়।
আমার ওসব নিয়ে ভাবার সময় নাই;
আমার কখনো রাস্তা দিয়ে তো হাঁটা হলো না
যেখান দিয়েই হাঁটি মনেহয় আকাশ- মহাকাশ পায়ের ধূলায় মাড়াচ্ছি;
যেখান দিয়েই হাঁটি, মনেহয় পুলসিরাত বিজলির আকারে পার হয়ে নরকে পড়ছি।
পুলসিরাত পার হয়েও আমার মতো গর্দভেরা নরকে যায়;
ঈশ্বরকে দেখেও আমার মতো গর্দভেরা শয়তান হয়;
সারাজীবন গোলাম হওয়ার থেকে ঈশ্বরের মতো শক্তিশালী কারো বিরুদ্ধে(নিশ্চিত হার জেনেও) লড়ি;
লড়ে যাওয়ার স্বাদ আমার মতো গর্দভরাই বুঝে।


সবিশেষ রাস্তায় উঠি;
এ রাস্তা আবার বাংলাদেশের রাস্তা;
যেসব রাস্তায় শুধু ভিআইপিগণ সুন্দরী পিএ'র কোমল উরুতে হাত রেখে,
বিগব্রাদারের ফাইল সাইন করে;
আমার উর্বশী পিএ নাই; বিগব্রাদারের ফাইলের বদলে সাদা কাগজ;
এসব কাগজে বিয়ের আগের রাতে,বিয়ের সাজে, প্রেমিকার রক্তাভ ঠোঁটের অটোগ্রাফ নেয়া হয়৷
তবু উঠলাম। প্রেমিকার বিয়ে না হোক;দাওয়াত না পড়ুক; এ কাগজে কারো নামে অভিযোগনামা লিখে,
বুড়ো বটগাছটার তলায় ঝুলিয়ে দেবো৷
গাছটার তলায় যে সন্নাসিটা বসে বসে সারাজীবন চিরকুমারত্বের আহাজারি করে,
সে দেখে নিজেকে ধন্য মনে করুক।


রাস্তা পার হয়ে আকাশপাতাল - নরক- বেহেশত পার হয়ে সুশীলদের নগরীতে যখন এলাম, তখন একটা কুকুরকে দেখলাম দুই সিংওয়ালা একটা বেড়ালের ডানায় চুমু দিচ্ছে;
আর ন্যাকা ন্যাকা কণ্ঠে সাদাত হোসেনের কবিতা পড়ে শোনাচ্ছে ;
তাকেও একটা সাদা কাগজ দিয়ে এলাম ।
প্রচুর পেশাবের বেগ সত্ত্বেও নাক চেপে জল নিয়ে ফিরে এলাম;
আমার ওসব রাস্তায় ইয়ে করার ইচ্ছা নাই।


এরপর বহুদিন রাস্তায় বের হই না;
রাস্তায় বেরোলেই বেড়াল আর কুকুরের রসনার ভারে, আমার পকেটের সাদা কাগজে ময়লার দাগ পড়ে;
এ মহা ভুল করা যাবে না;
সন্নাসিটা বড়ো অনুতাপে আছে।