একটা সরকারী কাজে গিয়েছিলাম
শহরের একটু অদূরে;
আশে পাশে দু'একটা ভ্যান গাড়ি
তাতে ভাবলেশহীন-কতিপয় ভবঘুরে।
দুপুরে তপ্ত সূর্য মাথার উপর
চারদিক ছায়াহীন, গাছগুলো এখনো তরূণ
দেখলাম, পুরোনো খসে যাওয়া ইটের দোতলা
স্তুপ। আশেপাশে জংলা বেশ
ফার্নের আধিপত্যের রেশ।
জংলা স্যাঁতস্যাঁতে আবহ চারদিকে
এ বাড়িতে কি কেউ থাকে?
নীচ থেকে দেখলাম কিছু সাদা পাড়ের শাড়ি
মৃদু পবনে দুলছে থেমে থেমে
যেন রৌদ্রের সাথে পেতেছে আড়ি।
একটা বয়সী কাক তারের উপর
অনেক্ষণ  বসা। নির্লিপ্ত  ভংগিতে
দেখলাম, একজন শুভ্রকেশী বয়স্কা
অদ্ভুত তার চাহনি।
তাতে স্পষ্টই দেখলাম বিধাতার বিরুদ্ধচারণ।
প্রবল অভিমান। কিন্তু চোখের পাতা অপলক। প্রশান্ত সমুদ্রের ঢেউ এর ন্যায়।
তাতে প্রাচীন এক মমতাময়ী আশ্রয় চায়।
হয়ত অপ্রাপ্তির আক্ষেপ নিয়ে রৌদ্রের সাথেই
বাক্যালাপ,  চলছে প্রতিদিন।
অনেককেই আপন করে নিয়েছিলেন তারা
ভালবেসে, কিন্তু যাচ্ছে আজ
দিবস-রজনী কায়ক্লেশে
শহরের কোলাহল হতে দূরে, এই প্রবীণ নিবাসে।