হাজার বছর ধরে
এ বাংলা যার অপেক্ষায় ছিল,
প্রতীক্ষার পালা শেষে
যার জন্য রক্তবিন্দুগুলো শিশিরের শব্দে
হুংকার তুলেছিল,
সকল হিসাবের পাঠ চুকিয়ে
যার তরে এ বাংলা ভেসেছিল -মুক্তির আনন্দে।
বাংলার বুক কেঁপে কেঁপে
উঠেছিল-বার বার,অজস্রবার।
সেই মহা সত্তার প্রচন্ড গর্জনে
পরিশেষের 'অর্জনে'।
সেদিন কৃষবরণ ধূম্রপুঞ্জগুলো দীপ্তির অগোচরে
লুকিয়েছিল।
পদব্রজে যার বংগধুলি মাখা হয়েছিল
অন্তর  নিঃস্বার্থে ভালোবেসেছিল।
মানুষের তরে, তোমাদেরই তরে
শৃংখলতার চক্র থেকে মুক্তিদাতা এ বংগ সন্তান
সময়ের পটে আঁকা যার স্মৃতি অম্লান
আজি ঘোর অমানিশার লগন
তোমারেই করি স্মরণ হে চিরতরুণ।
মুক্তির বার্তাবহ হয়ে এসেছিলে
দিয়েছিলে সাহস, একটি ন্যুব্জ জাতিরে
করেছিলে মহান, একটি বজ্র কন্ঠে
সেই দিন ,অসাধারণ মহাকাব্যিক সূচনায়।
শত্রুর বুলেট বিদ্ধ তোমার-হে পিতা
মরণেও তুমি অসাধারণ,
নিথর এক মায়াময় কায়া।
যেন একটি রক্তাক্ত বাংলাদেশের ছায়া।


♦♦♦♦♦