সৃষ্টি কূলের অসীম সৃষ্টি
হাসি-কান্নার লীলাভূমি
অবিশ্বাস্য যে চীর বিস্মৃতি
অনেক রহস্য তোমার পৃথিবী।


সুখ-দুঃখ বেদনা যত
দাওনা কেন আমারে শত
কাঁদাবে তুমি আমায় কত?
তবু যেন তোমার মত
হৃদ্বয় উদার করতে ব্রত।


শতলোকের ভিড়ের মাঝে
শত-সহস্র কাজের চাপে
যদিও তোমায় দেখি না যে,
তবুও যেন হৃদ্বয় মাঝে
তোমার আসন পাতা আছে।


বিলীন হবে সকল কিছু
থাকবে না আর উঁচু-নীচু
সমস‌্যা যত হবে মিমাংসু
ছুটবে সবাই মহালোকের পিছু
তখন মোরা হব যেন নবীন শিশু।


নদীর দুকূল ছাপায় প্লাবন
হয়তো আষাঢ় নয়তো শ্রাবণ
প্রাণকে বাঁচায় বাতাস পবন
তেমনি মম হৃদ্বয় আঙন
তুমি যে মম জীবন-মরণ।


কেউ বা চাহে বাড়ী-গাড়ী
কেউ বা চাহে টাকা-কড়ী
হয়তো সবার আছে সবই
কিন্তু হেথায় অছো শুধুই
একিটই মাত্র আমার ধরিত্রী।


================


রচনাকাল ও স্থান: ৩১শে শ্রাবণ, ১৪০৫ বঙ্গাব্দ/
১৫ই আগষ্ট, ১৯৯৮ ইং;
আজিজ মহল্লা, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।