অঝোর যেন তোমার ধারা
ঝরছে আমার হৃদ্বয় বক্ষে,
তিমীরো এ শ্রাবণো ধারায়
নীবিড়ো করে আমাের ভোলায়।


নিভৃত এ নির্ঝরণী
ভাসিয়েছে যে মাের ধরণী
হেথায় এখন মায়ার তরণী
বাইবে কে গো হৃদ্বয় রাণী?


হৃদ্বয় মম ভাসিছে প্লাবনে
অনন্ত তব মায়ারালোকে,
অভূত কোন আশার পূলকে
অদৃশ্য যেন স্বর্গীয় বানে
অাবীর ঘন এই শ্রাবণে।


আজি মম হৃদ্বয় আঙন
ভেঙেছে তব মায়ার প্লাবন;
বোঝনি তুমি বোঝনি কেন?
নিভৃত সেই চাহনী তব
রুক্ষ-অসার এই বক্ষে
এনেছো যেন প্রাণের ঢেউ।


ঝর-ঝর এই শ্রাবণ-প্রাতে
অবিরাম যেন ঝরে যেতে
অপলক তব সেই পলকে
দেখবো তোমায় অনন্তালোকে।


শ্রাবণো মেঘের দূর নীলিমায়
মিশি যেন আজি একাত্মতায়
জড়িয়ে গেছি এ কোন মায়ায়!
কোন অসীমে সৃজীল তোমায়
অনন্ত অপার অশেষ মহীমায়।
মহান সে অসীমকে জানাই
অশেষ সালাম চীর কৃতজ্ঞতায়।


নির্জন মোর এই ধরাতে
শুষ্ক এই জীবন তটে
থাকে যেন চীর প্লাবন,
শ্রাবণ যেন নীরবে ঝরে
নিভৃত মম কুঞ্জবনে।


ক্ষুদ্র অতি তু্চ্ছ আমি
বিশাল তবে বিশ্ব-ধরণী
রাখবে স্মরণ এই কাহিনী
পবিত্র কত তব চাহনী
মম ধরাতে এই শ্রাবণী।


রচনা কাল ও স্থান : ২৯শে শ্রাবণ, ১৪০৫ বঙ্গাব্দ;
১৩ই আগষ্ট, ১৯৯৮ ইং; আজিজ মহল্লা, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।