অণু; আমি না হয় আর কাঁদবো না
না হয় নিজেকে ভিজাবো না শ্রাবণের জলে
সারাটা জীবন না হয় এভাবেই কাটাবো সৌর অনলে
তাহলে কি থেমে যাবে বৃষ্টি ?


বরং তুই নিশ্চুপে এসে শ্রাবণের কবিতা শোন
শোন বিদগ্ধ আত্মার করুণ সুর
কতটুকু সয়ে কতটুকু জ্যান্ত আমি
পারিসতো ছুঁয়ে দিস আমায় শান্তির বারতায়।


অণু; তোর ছোঁয়ায় মেঘেরা ভেসে যাবে
আলোতে মিশে যাবে শতত আঁধার
আষাঢ়ের মেঘে ঢাকা জন্মান্ধ চোথে
রোদ্দর নেমে এসে হেসে হেসে দিয়ে যাবে
চুম্বনের মালা; শাশ্বত প্রেম।


আয়; আমি নাহয় একটানা বলে যাবো শ্রাবণের কবিতা
যদি পারিস জাগিয়ে দিস; এই নিষ্প্রাণ প্রাণ
ফুলের সুবাস নিশ্চই তুইও ভালোবাসিস
প্রজাপতির মতো; অবিরাম।


অণু; তুই এলেই কলুষমুক্ত প্রাণ
তোর সান্নিধ্যেই কবিতার বিজয়
তোর স্পর্শেই জাগ্রত ধরণী
জাগ্রত হৃদয় আত্মা ও প্রেম
তোর স্পর্শেই শান্ত হোক অন্তর্বৃষ্টির মাঠ।