আমি জন্মেছিলাম,
একমুঠো হাসির জন্য
একটি ছোট্ট শরীর।
আস্তে আস্তে বেড়ে উঠেছিলো,
একটি জীবন্ত আত্মা জীবন্ত প্রাণ।
আমি জন্মেছিলাম,
অণু’কে একগুচ্ছ রক্তজবা উপহার দিয়ে
গোলাপের মতো একটি হাসির জন্য।
আত্মার প্রাচীরের ভিতর অপেক্ষা করছিলো
শিশুর মতো উদার,
ছাত্রের মতো বড়
ছাতার মতো আত্মবিশ্বাসী,
একটি ক্ষুদ্র জীবন।
খুব সামান্য ভালোবাসা আস্তে আস্তে বেড়ে উঠছিলো,
বরষার জলে কলমি ডগা।
যদিও প্রেম আমার অন্তরাত্মার ব্যপার
সামান্য হলেও-
হতে হতে একদিন এক আকাশ;
অন্ধকারের দিকে ধাবিত হচ্ছিলো।
মন আরোহন করছিলো নিউরণের কোষে কোষে
তখন নিকোটিনের কালো ধোঁয়ায়,
ধোঁয়াশা। হতেই পারে--
একমাত্র স্বপনের টিকিট।
প্রতীক্ষার প্রহর গুণে গুণে
আত্মার ধোঁপাখানায় মন ধুয়ে ধুয়ে
হৃদয় তখন সাদা কাগজ;
অন্তরের মেঝেতে রেখে অস্রুজলের
নোনা কালিতে লিখে চলছে-
অণু’র নামের পাশে একগাদা
পৃথিবীর তারিখ সময়।
নিঃসঙ্গ দিবা রাত্রীর প্রতিটি প্রহরে
ঘড়ির টিক টিক শব্দ-
সেকেন্ডের এপাশ ওপাশ,
নিয়মিত বড় হতে থাকে দুঃখ।
একগুচ্ছ রক্তজবা হাসির লাশ হয়,
এবং রাতের নিঃসঙ্গতা পান করে
কালো আগুন;
অদৃশ্য চিতা জ্বলে বুকের ভিতর।
আমি জলের মতো কল কল শব্দ শুনি,
উত্তপ্ত লাভার আগ্নেয় ঝর্ণা
চোখের কার্ণিশে।
সেই একমুটো রক্তজবা—
অণু’র হাসি-
আকাশের নীল সমুদ্রের নীল হয়ে
বারমাসি আবেগ উদ্যানে.
হাসছে আর হাসছে বিরহ হাসি।
আমি শোকের পাহাড়
জলের নিচে কান্নায় ভাসি।