তুমি বলেছিলে  ঐ যে দূরে সবুজ শ্যামল বন
বনের কিচিরমিচির পাখিদের কলতান মুখর সন্ধ্যা
সাথে একটি নিরিবিলি রবীন্দ্র সঙ্গীত গাইবে শুধু আমার জন্য।
ভাবলাম বাহ!  


আরেকদিন দেখলাম দুই হাত ভরে হাজারটা স্বপ্নের ঝুলি নিয়ে
দাঁড়িয়ে থাকলে চৈত্রের প্রখর খরায়!
চোখমুখে ভালোবাসা উপচে পড়া আনন্দ আর সলজ্জ হাসি।
হাঁটতে হাঁটতে বুনো ফুল সব কুড়িয়ে এনেছ আমার জন্য।
ভাবছি জীবন কত সুন্দর।  


তারপর আমাকে অবাক করে
একটি রাজপ্রাসাদের সামনে দাঁড়িয়ে বললে,
এই নাও; লিখে দিলাম আমার মনের রাজ্য তোমার নামে।
বললাম এত সব কিছুর দরকার ছিলনা,
তুমি শুনলেই না সে কথা; সমস্ত রাজ্য তখন আমার নামে।।


তারপর অসংখ্য রাত জেগে জেগে  
গোলকধাঁধায় আলোকিত রাজ্য দেখতে দেখতে
চোখের দৃষ্টি ক্ষীণ; রাজ্য ঘোলাটে; তো কি হয়েছে!
রাজ্যটা তো আমারই ।


একদিন ওটার সীমানা অতিক্রম করে
কঠিন পরিখার সামনে দাঁড়াতেই;
লক্ষ লক্ষ সুসজ্জিত সৈন্যসামন্ত আমায় লক্ষ্য করে ছুঁড়ে  দিলো;  
অসংখ তীর আর গোলাবারুদ;  
আহত আমি; জানলাম ওটা আমার  রাজ্য নয়।


মাটিতে মিশে যেতে যেতে দেখলাম অবজ্ঞায় ভরা তোমার মুখ,
যন্ত্রনায় নিস্তেজ আমি; ভাবছি ঠিক আছে; ঠিক আছে,
আজ থেকে তোমার সুখই আমার সুখ।।