আড়ষ্ট ভোর যখন গৃহবন্দী,
চঞ্চল বাইপাস যখন
সুবোধ বালকের মতো ধীর স্থির নিস্পন্দ,
লাগোয়া, মস্ত ঝিলটা যখন  
আপাদমস্তক কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে ঘুমে অচেতন,    
তারা, কিন্তু সশব্দে ছুটে চলেছে তখন-  
উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায়    
‘দেরি হয়ে গেল বোধ হয়’-এই ঘোর দুশ্চিন্তায়!  
  
রুটিরুজি এমনই-
শুধু আজ নয়!  
দারিদ্র্য, বরাবর এমন করেই তাড়িয়ে নিয়ে চলেছে
ভোর থেকে রাতভোর অবধি


যে শ্রম বেচে
আধপেটা পেট, ভরানো যেত আরও একটু,    
স্বাচ্ছন্দ্য পাওয়া যেত আরো একটুখানিক,    
সেই মহার্ঘ শ্রম তবু,
জমিয়ে রাখে তারা,  
আলপনা আঁকবে বলে, উঠোনে    
  
দারিদ্র্য দূরীকরণে শস্যের ভূমিকা
দরিদ্রকে, বুঝিয়ে বলার অপেক্ষা রাখে না!  
তবু, আলের ধারে,
পুকুর পাড়ে,
গাঁদা ফুল শোভা পায়


একমুঠো মাটির কল্যাণে
ফুলসৌন্দর্যে ভরে ওঠে,
রুক্ষ-শুষ্ক-নিঃস্ব, ভূমিহীন টবের বুক      


শুধু আজ নয়!
প্রস্তরযুগের সেই গুহাচিত্রের আমল থেকে  
দারিদ্র্য, বরাবরই গো-হারা হয়েছে, সৌন্দর্যতৃষ্ণার কাছে-