“আরো কটা দিন থাকো, কটা দিন আরো থাকো শীত  
লেপের আদর মাখি, শুনি হিম পড়ার সঙ্গীত।”


                    - কবি অতনু দত্ত  (আরো কটা দিন থাকো)      


    দুর্বোধ্যতার সুবিধে অনেক। কাজ থাকে জট ছাড়ানোর। আর সহজতায় বড়ো অসুবিধে। কবি যে এখানে  সব কথা বলে দেন, তাঁর সারল্যে আর নিবিড় আলাপনে। আলোচকের কিচ্ছু করার থাকে না।  তবু,  সরেস নলেনমাখা কবিতাটির মিষ্টতা নিয়ে একজন তৃপ্ত পাঠক হিসেবে নিজের অনুভব সবার মধ্যে ভাগ করে নেওয়ার লোভ সম্বরণ করতে  পারলাম না। এড়াতে পারলাম না কিছুতেই, এমন  আন্তরিক   আলাপচারিতার সঙ্গে পাঠককে পরিচিত করার ইচ্ছেটাকে।  


  আরো কটা দিন থাকো। কথাটিতে কেমন এক আন্তরিকতার ছোঁয়া। প্রিয়জনের বিদায়ক্ষণটিকে বিলম্বিত    করার, স্মৃতি  মাধুর্যের কলসে থরে থরে ভরে রাখার এমন প্রত্যেকটি খুঁটিনাটি, সত্যিই বড়ো মনোরম।    


  শীত যেন  এক অতি প্রিয়জন।  তাকে বিদায় দিতে মন চায় না কিছুতেই। সত্যিই তো শীত চলে গেলে যে হারিয়ে যাবে একে একে আমার প্রতিটি একান্ত আদরের  জিনিস।  বাড়ি থেকে যখন আপন কেউ বিদায় নেয়, আমরা তখন যেমন করে বলি, কবি তেমন করে একে একে শোনালেন, কেন তাঁর আরো একটু থাকার প্রয়োজন।


“আরো কটা দিন থাকো, জীবন নিরস তুমি ছাড়া
কটা দিন খুশি থাকি, পরে তো সে থোড় বড়ি খাড়া।”


এমন করে প্রকৃতির এক ঋতুকে ব্যক্তিত্বের আরোপে বড়ো আদরমাখা কাব্য  উপহার দিলেন আসরের প্রিয় কবি অতনু দত্ত।  কবিতার নাম “আরো কটা দিন থাকো।”  
  
বড়ো তৃপ্তি পেলাম নারকেলি পুরভরা পাটিসাপটার মতো মিঠে এই কবিতায়।    
  
ভালো থাকবেন প্রিয় কবি
আন্তরিক শুভ কামনা সকল সময়।