এক নামের অনেক কবিতা
প্রিয় কবি আগুন নদী          


    চাঁদ-পৃথিবী-সূর্য-তারামণ্ডলের “বন্ধনজীবন।” কালচক্র। সময় এমন করেই পারস্পরিক বন্ধনে বেঁধে চলেছে পরস্পরে-বিশ্বসংসার জুড়ে।  


  চাঁদ  প্রত্যেক তিথিতে এক একটি নক্ষত্রের সীমানায় বিরাজ করে। পূর্ণিমা তিথিতে চাঁদ  যে  নক্ষত্রের কাছে থাকে সেই অনুযায়ী মাসের নাম, যেমন- বৈশাখ (বিশাখা), জ্যৈষ্ঠ (জ্যেষ্ঠা)  আষা ঢ়(পূর্বাষাঢ়া ও উত্তরাষাঢ়া) শ্রাবণ (শ্রবণা)... ইত্যাদি। যেহেতু চান্দ্রমাস আটাশ দিন এবং বছর বারো মাস বা তিনশো পঁয়ষট্টি দিনে, তাই মাস এবং  তিথি  কিছুটা হেরফের হয়ে  যায়। “তিথিগত অনিদ্রায় ছটফট করলেও বুঝতে পারেনা আষাঢ়ের শেষরাত!”  তিথি অন্যরকম বললেও অন্যজন মানে ক্ষণগণনা  কিন্তু ঠিক ঠিক বলে ওঠে 'আগামীকাল শ্রাবণের প্রথমদিন'।  


  প্রিয় কবি আগুন নদী এক ভিন্ন যাত্রাপথে নিয়ে চললেন আমাদের। যে পথ সময় গণনার...যে   পথ  তিথি নির্ধারণের। চক্রাকারে যে পথ চলেছে যুগযুগান্ত ধরে। আষাঢ় থেকে শ্রাবণের দিকে... এক বিচ্ছেদ থেকে আর একটি মিলনের দিকে।
  আবার ঘুরতে ঘুরতে জন্মদিন ফিরে আসে বছরের শেষে “এমনি আসবে ফিরে,প্রথম 'শ্রাবণদিন'।”  


   একটি বছরের মধ্যে বারো মাসের জন্মকথা। একটি বছরের মধ্যেই বারো মাসের বিরহ আলেখ্য।  হাত ধরাধরি করে চলে “এক নামের অনেক কবিতা”।


   চমতকার নামকরণ। ধোঁয়াশা ছিল মনে। বলতে বাধা নেই এখনো আছে বেশ কিছুটা। প্রিয় কবির ভাবনার সঙ্গে মিলল কি না প্রতীক্ষায় রইলাম তাই।  
  দীর্ঘদিন আমাদের এই আসর পায়নি তাঁকে। আর এসেই একের পর এক চিরন্তনী শুনিয়ে চলেছেন তিনি, তাঁর অননুকরণীয় স্টাইলে।
  বড়ো ভালো লাগলো যে,তা বলার অপেক্ষা রাখে না।


  ভালো থাকবেন। আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন এমন এক বিরল বিষয়কে উপজীব্য করে এমন এক অসাধারণ কবিতার উপস্থাপনে।