সমাধান
কবি প্রবীর দে


   সমস্যার কথা তো বলতে পারে সবাই। সমাধানের খোঁজ দিতে পারে কয়জনে! আসরের প্রিয় কবি প্রবীর দে তাঁর “সমাধান” কবিতায় চেষ্টা করেছেন ছুঁতে, সেই চিরকাঙ্ক্ষিত অজানা পথটিকে।


   জীবন চলমান। তবুও কারো কারো জীবন কখনো অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে গতি থামিয়ে। জীবনপথ  আটকে যায় সবদিক থেকে। বেরোতে পারে না সমস্যার জাল কেটে। কবি এমন অবস্থাতেও আশার হাল ছাড়েন নি। স্বপ্ন দেখা বন্ধ করেন নি।  বিরূপ জীবনের প্রতি, অসীম মমতায় তখনো আস্থা রেখেছেন; ভালোবাসায়। এটাই তো চাই আমরাও। কিন্তু, আস্থা হারিয়ে ফেলি যে! আলোহীন-দিশাহীন-অন্ধকার সময়ে শুধু, চৌকাঠে মাথা ঠুকে মৃত্যুর সময় গুনি। কবি কিন্তু হাল ছাড়েন নি তখনো। কঠিন সে সময়েও এক আকাশ আশা নিয়ে শুনিয়েছেন, আশার বাণী। সে বাণী কোন আকাশকুসুম কল্পনারঞ্জিত নয়, বাস্তবের উপমায় মাটি দিয়ে গড়া সে আস্থার কথা-


“ফুল ফুটবে না, তা হয় নাকি ...বৃন্তেরও যে আস্থা থাকে পাপড়ির প্রতি।”  


“জীবনকে যদি কখনও তুচ্ছ মনে হয় তোমার....  
জল নয়, অভিলাষ দিয়ে তোমার তৃষ্ণা মিটিও।”

একেবারে সঠিক পর্যবেক্ষণে শেষ বিন্দু পর্যন্ত  নিজেকে আশার আলোয় জিইয়ে রাখার প্রতীক্ষা। মরার আগে না মরার অনমনীয় জেদে বড়ো সুন্দর-  


"মনে  রেখ,অবিক্রিত শস্যের বোঝা বইতে বইতে
ক্লান্ত কৃষকও  আবার বীজ বপন করে,আশা নিয়ে ।
ইতিহাসের কালো কফিনে  মোড়ার আগে অন্তত শ্বাসটুকু  নিও।"
  
মনোরম কবিতায় আগাগোড়া এমন করে আস্থার প্রতি স্থিতিশীল থাকা মোটেও সহজ কাজ নয়। বলা বাহুল্য কবি সে কাজ সেরেছেন অনন্য দক্ষতায়।
  
বড়ো প্রাসঙ্গিক ভাবনায় মুগ্ধ করলেন কবি।    
ভালো থাকবেন
আন্তরিক অভিনন্দন।