সময়ের রাহাজানি
-মনোজ ভৌমিক(দুর্নিবার কবি)


  জোর করে আদায় শুধু মানুষে করে না। প্রকৃতিতেও দেখা যায় এমনতরো। আসলে প্রকৃতির আদিম লালসাই আমাদের মধ্যে সঞ্চারিত হয়েছে বোধ হয়!
  
আসরের সবার প্রিয় কবি মনোজ ভৌমিক(দুর্নিবার কবি)তাঁর ব্যতিক্রমী কবিতা “সময়ের রাহাজানি”-তে তুলে ধরেছেন এমন এক ভিন্নকথা। গাঁথবার চেষ্টা করেছেন প্রকৃতির হিংস্রতার সঙ্গে তথাকথিত সভ্য সমাজের বর্বরতাকে।
  
যে কবি ছবি আঁকেন প্রকৃতির মনোরম শ্যামলিমা। তাঁকেই, বড়ো যন্ত্রণায় আঁকতে হয় হানাহানির শোষণকথা। দেখাতে হয়, দেখতে হয়, কেমন করে প্রতিনিয়ত সবল লুটে নিচ্ছে অপেক্ষাকৃত দুর্বলকে।  


এক এক করে অসাধারণ উপমায় সাজিয়ে দিয়েছেন তিনি। বড়ো নির্মম তবে একেবারে বাস্তব।  


“পড়ন্ত বেলায় হেঁটে চলেছে গর্ভিণী রোদ্দুর,
কচিকাঁচা দেহে ছোবল মারছে ও মাংসাশী কুকুর।
হাড় জিরজিরে কুকুর গুলোর দাঁতকে যাবেনা ভাঙা,
পর্ণচিত্রে চোখ রাখে সদা,নিকোটিনে চোখ রাঙা।”


নষ্ট সময়ের কথা, চুনোপুঁটির মৃত্যুকথা কবি এঁকে দিয়েছেন সারা কবিতাটির  ছন্দময় মনোরম শরীর জুড়ে। সুরে সুরে গেয়েছেন বড়ো সুন্দর।  
  
“বনের রাজা নাচছে সদাই সিংহাসন তার খাসা,
বাঘেদের চোখে চশমা আজকে,মনেতে রঙীন নেশা।”  


"এবার কিন্তু রাঘব বোয়াল চরবে পুকুর ঘাটে,
চুনোপুঁটি সব মরবে ওখানে,আসছে সাঁতার কেটে।"


তবে, মাৎস্যন্যায়ের ন্যায় এমন অস্থির সময়ের রাহাজানিতে মন খারাপ হয়ে যায় বড়ো। মরমি কবির অনন্য লেখনিতে দুর্বলের হাহাকার এমন করে ফুটে উঠেছে অনবদ্য।


চেতনার এমন কাব্য কথায় সমাজকে সচেতন করলেন কবি।
বলা বাহুল্য, বড়ো ভালো লাগলো কাব্যে


ভালো থাকবেন প্রিয় কবি।
আন্তরিক শুভকামনা সকল সময়।