জরা জীর্ণ নিয়ে আর কতদিন!
ভাঙন অপরিহার্য হয়ে পড়ে, কখনো কখনো
এই ভিটেয়, বিগত তিন পুরুষ ধরে!    


বিজয়া ঠিক চলে যাওয়া নয়
প্রস্তুতি মনে করতে পারি; পরের বারের  


ঘর ভেঙে ফাঁকা মাঠ প্রায়,
ডাঁই হয়ে পড়ে থাকা রাবিশের মধ্যে  
ইতি উতি ছড়িয়ে ছিটিয়ে এখনো;
রান্নাঘরের কালো ঝুল, রঙচটা লাল- কালো মেঝে, ভাঙা দেওয়াল    
নীল গামলা, প্লাস্টিকের সবুজ বল-আমার ফেলে আসা শৈশব!    


মানুষের সাহচর্য পায়নি
যে জমি, পতিত আজীবন-
ফাঁকা তার চোখ সওয়া হয়ে যায়; অভ্যস্ততায়


যদিও, জমি আমাদের
মোটে এক চিলতে      
তবু, কী বড় লাগছে দেখতে!          
ঘরের আচ্ছাদনে এতদিন; ভরাট ছিল বলেই,    
ফাঁকা এমন, লাগছে বোধ হয়!      


হৈ-হুল্লোড়ে জমজমাট,      
এত ভরা; নিমেষে ফাঁকা!    
আলোহীন দুর্গামণ্ডপে সঙ্গী এখন,  
শুধু একখানা টিমটিমে প্রদীপ;  
    
পিতৃপুরুষের ভিটে আজ,
নির্জন কোলাহলহীন;          
ফাঁকা বড়ো শূন্য; শূন্য বড্ড খাঁ খাঁ করছে যে!