আস্তে যেতেই ওকে রোজ পথে দেখতাম
কখনো কলসি নিয়ে, কখনো বা সাজি হাতে।
কিন্তু কখনোই দেখি নাই চেয়ে আমায় দেখতে
সখি নাই, সাথী নাই, একাকী চলে পথে।
শুনি নাই তার এই রূপের সুমধুর কন্ঠ্স্বর।


রোজই ভাবি কিছু বলব আজ তাকে
কিন্তু বিদ্যালয়ের শিক্ষক আমি
লাজ লাগে, ভয় লাগে কেউ যদি দেখে।
সত্যিই আমি ওর রূপে পাগল হয়েছি
কল্পনায় ওর ছবি এঁকেছি, গান শুনেছি,
যেমন চেয়েছিলাম আমি আমার প্রিয়াকে
তেমন পেয়েছি এই অনামিকার মধ্য দিয়ে।


মনে মনে ভেবেছি শুনব গান,
রবীন্দ্র দিয়ে শুরু করে নজরুল আপ্রান।
দু'জনেই মোরা ভাসব সেদিন 'সো্নার তরী' বেয়ে
অচিনপুরে ভেসে যাব কবিতার পালে হাওয়া দিয়ে।
কল্পনায় ভেবেছি কত সুমধুর ওর স্বর
রূপের কাছেও হার মানবে ওর কোকিল ক্ন্ঠ্স্ব্র।


সাহস করে বলেই ফেললাম একদিন
কিন্তু ওর উত্তর পাইনি আমি সেদিন
ভুলে যাওয়ার কত চেষঠা করেছি তাকে
কিন্তু ভুলব কিভাবে, দেখা রোজই পথে।
সাহস করে ওর বাবার কাছে পাঠিয়েছি প্রস্তাব
'অনাথের কেউ নাই, যদি দেন ওর হাত'।
কিন্তু সত্যিই ঠকাইনি সেই'দিন ওর বাপ
'বোবা মেয়ে ও যে আছে, করবে কি বাত'।


সত্যিই, তৎক্ষ্নাত ভেঙ্গে পড়েছে বাজ
আমার মনের ইচ্ছাগুলি ছিড়ে গেল আজ
স্বপ্ন গুলো একে একে দিল ফাঁকি
ক্যানভাসটা ভেঙ্গে গেছে যেথায় ছবি আঁকি।
নিজেকে আজ বোকা বলি, না ভাবি পাগল,
বো্বার মেয়ের চিত্র নিয়ে কাটিয়েছি কাল।
কোকিলও যেন উড়ে গেছে, ফাঁকি দিল আজ
সবই যেন ভেঙ্গে গেল, স্মৃ্তির সব সাজ।


না, না, আমি পারিনি ফাঁকি দিতে
'মন' যে বড়োই ভালো, আমায় বুঝিয়েছে,
সে না হয় পারে না বলতে, আমি তো পড়ি,
আমি পড়ব কবিতা, সে তাতেই দেবে পারি।
তাই'তো আজ আমার প্রিয়া আমার কাছেই আছে
সুখে দুখে পাশেই সারাটা জীবন সাথে।