হে কবি, তোমার পায়ে
আমার শত কোটি প্রনাম।
আমার মনে চিরটা জীবন
বিরাজ করে থাকবে তোমার নাম।।
তুমি ছিলে এক দেশপ্রেমী
অশান্ত সময়ের পথিক।
তুমি ছিলে দুঃসময়ের
শান্তির মূত প্রতীক।।
তুমি ছিলে বিদ্রোহী কবি
বিদ্রোহ তোমার কথায়।
আবার কখনো ভরে যেত মন
'রানা'র দুখের কথায়।।
কখনও আবার 'সিঁড়ি' কে তুমি
দিয়েছ এক মহান স্থান।
রবীন্দ্র নাথকে গুরু ভেবে
দিয়েছো তার পায়ে প্রনাম।।
ক্ষুধার তাড়নায় চাঁদ'কে তুমি
করেছো ঝলসানো রুটি।
'আঠারো বছর বয়স' কি দুঃসহ
তা উঠেছে তোমার কলমে ফুটি।।
ধনীর কাছে 'ভালোখাবার'
গরীবের রক্তের চেয়ে বেশি কী? ।
'আগামী' দিনে শিশু হবে
এই উঁচু সমাজের  উঁচু নাগরিক।।
তোমার ভাষা আজও আছে
মোদের অন্তরে বিরাজ করে।
সদাই চেষটা করব মোরা
এই সমাজকে শিশুর বাসযোগ্য দিতে করে।।
'একটি মোরগের কাহিনী' র মতো
যদি আসে মৃত্যু সাফ্যলের পথে।
হাসতে হাসতে করব বরণ তা
'আগামী' প্রজন্মের জন্যে।।
গরীবের অধিকার পাওয়াতে হলে
যদি করতে হয় 'হরতাল'।
সেই 'অভিযান' ও করব মোরা
'ঘুম নেই' চোখে করব তার প্রতিবাদ।।
ক্ষুদ্র যদি ভাবে মোদের
জ্বলব 'দেশলাই কাঠি'র মতো।
সমস্ত কিছুকে জবালিয়ে দিয়ে
গড়ব আবার নতুন করে।।
আবার তো্মায় জানাই প্রনাম
তুমি মহান কবি।
অসমায়ে ছেড়ে গেলেও , আছো
মোদের মনে বিরাজ করে তুমি।।