তুমি যখন পড়ছ আমার পত্রখানি
আমি তখন তোমায় ছেড়ে গেছি অনেকখানি।
তুমি ভাবছ, আমি পাষন্ড, নিষঠুর অতিশয়
আমি কিছুই শুনি না তুমি বল যা আমায়।
তবুও আমি যাবার আগে বলি আরেকবার
তোমায় আমি ভালোবাসি, বাসব বারবার।
জানি তুমি কাঁদছ প্রিয়া, কেঁদো না আর
এবার যদি না হয়, মিলন হবে আরেকবার।
মনে পরে প্রথম যেদিন দেখা দুজনায়
দুচোখ ভরে দেখেছিলাম শুধু আমি তোমায়।
মনে সেদিন ভেবেছিলাম এ কোন উর্বশী,
স্বগ থেকে মত্যে এল, এ কেন একাকী?
বিশ্বামিত্র আমিই হব, ভেবেছিলাম মনে
সেদিন হতে তুমিই আছ আমার হৃ্দয় কোনে।
এটুকু পড়েই ভাবছ, 'তুমি চলে গেলে কেন?
বন্ধু সেজে যেমন ছিলাম, প্রেমিক সাজি যেন।'
মনে মনে আমিও ভেবেছি বারবার
কিন্তু, হায় এই ভাগ্যের কী নিষঠুর পরিহাস।
তোমার ওই মুখের হাসি, মিস্টি কলতান
তোমার ওই আলতোঁ ছোঁয়া, ধন্য হত প্রান।
গোলাপ পাপড়ি ন্যায় ওস্ঠ, কেশ রেশমী
সম্পূ্ন চিত্র হয়েও কিছু যেন বাকী।
কিন্তু যখনই দেখতাম ওই পটলচেড়া আঁখি
ভাবতাম, ভগবান দিল এথায় কেন ফাঁকি।
আমার কানে এখনও তোমার সেই কন্ঠ বাজে
আমায় তুমি দেখতে চাও তোমার নয়ন ভরে।
যাবার সময় নিয়ে গেলাম শুধুই স্মৃ্তি খানি
তোমার জন্য রেখেগেলাম আমার আঁখি দুটি।
নয়ন ভরে দেখ আমায়, আমার মৃ্ত মুখখানি
ভালোবাসায় শুধুই দিও দু ফোঁটা অশ্রুপাণি।
আমায় শুধু মনে রেখে যত্নে রেখ আঁখি
তোমার মধ্যে থাকব বেঁচে, ভালোবেসে যাব আমি।