শ্যাম বাবুর
একটাই ছেলে।
আবদারে কিনে দিয়েছে আই ফোন।
সারা দিন
পাবজি খেলে।
পড়াশোনায় নেই তার একদম মন।


এই বয়সে
কখনো মারপিট,
তার সঙ্গে পাড়াতে করে দাদা গিরি।
খৈনি, পান
জরদা, সুপুরি
নেশায় তার বাদ নেই সিগারেট ও বিড়ি।


ওই তো সেদিন
সিধু মাস্টার,
বললেন বাবা এ-সব খেয়ো না ক্যান্সার হবে।
বললো হেঁকে
মুচকি হেসে।
তা বলছি মাস্টার আমার ক্যান্সারের ডেটটা কবে।


কোনো রকমে
চোতা টুকে,
টায় টায় মাধ্যমিক পাস করেছে ছেলে।
এই আনন্দে
শ্যাম বাবু,
ভীষণ বড় পার্টি রেখেছে আজ বিকেলে।


হরেক রকম
খাবার ছিল।
মা ছেলেকে উপহার দিল সোনার হার।
ব্যবসায়ী বাবা
মহা আনন্দে,
পেল্লায় রকম বাইক দিল তার।


সবে তার
ক্লাস ইলেভেন।
ছেলে বাইক চালিয়ে স্কুলে যায়।
অনেক টাকা
হাত খরচে
মোগলাই, পিৎজা, বারগার টিফিনেতে খায়।


স্কুলের মধ্যে
গ্রুপ করে,
মারপিট করে,আবার তর্ক করে স্যারেদের সাথে।
কখনো ভালোবেসে,
ভয় দেখিয়ে!
কোনো পরিবর্তন হয় না তাতে।


গার্জেন কল
স্যারের কথায়,
শ্যাম বাবুর, লজ্জায় মাথা হল নত।
ভীষণ রেগে
চড় কষিয়ে,
ছেলের বন্ধ করল সুবিধা  যত।


বেয়াড়া ছেলের
খরচ কমল।
সঙ্গে  বাবা বাইক নিলেন কেড়ে।
স্কুলে যাবি
পড়াশোনা করবি।
এই বলে মারতে গেলেন তেড়ে।


এই বয়সে
এত শাসন!
ছেলের মাথা হল ভীষণ গরম।
বাবার সামনে
চুপ করে
কিছু না বলে, থাকে সে নরম।


স্কুল যাবার
নাম করে
ছেলে আড্ডা মারে পাড়ার কোনে।
নেশা করবে
টাকা চাই,
চুরি করার ফন্দী আঁটে আপন মনে।


ছেলে আমার
হাত ছাড়া!
বাবা আপসোস করে পাড়ার লোকের কাছে।
কি করবো
কোথায় যাব
বলুন না  উপায় কি কিছু আছে?


পাড়ার লোকে
বলে তখন,
শাসন যদি ছোটো থেকে করতেন।
তাহলে মশাই
এই বয়সে
এমন মাশুল কি গুনতেন?


গত মাসে
শেষের দিকে
পাসের পাড়ায় চুরি করেছে ছেলে।
পাড়ার লোকে
ভীষণ ঠ্যাঙিয়ে
ভোরে দিয়েছে তার জেলে।


শ্যাম বাবুর
একটাই ছেলে
এখন জেলের ঘানি টানে।
ছেলে ছাড়া
বাবা মায়ের
কেমন করে কাটে দিন, কে জানে?


//রচনা: ১ ডিসেম্বর ২০২৩,কলকাতা //