সুন্দর একটি গ্রাম যেনো রূপকথার মত
মন ভরে না তবু তাকিয়ে থাকি অবিরত।
প্রকৃতিক দৃশ্য,নদী নিয়ে আমার ছোট্ট গ্রাম
ছোট্ট এই গ্রামখানি চর চান্দিয়া তার নাম।


বঙ্গোপসাগরের কূল ঘেঁষে চর চান্দিয়া গ্রাম
হিংস্র হয়ে বয়ে যায় তার নাই কোনো বিরাম।
চর চান্দিয়া গ্রামটি যেনো ফুল পাখিতে ভরা
সবুজ গাছের সারি সারি নিপুণ হাতে গড়া।


কোল ঘেঁসে মোর গ্রামের ছোট নদী চলছে
ছোট ছোট ডিঙি নৌকা তার বুকেতে দুলছে।
মৎস্য ভরা পুকুর গুলো গোয়াল ভরা গরু
আলতা পায়ে যায় কিশোরী পথটা ধরে সরু।


গ্রীষ্মকালে আম-কাঁঠালের মৌ-মৌ গন্ধে
নাচতে থাকে মৌমাছিরা গুনগুনাগুন ছন্দে।
মাঠের পরে মাঠ সোনার ধানেতে রয় ভরা
সর্বক্ষনই ব্যাস্ত থাকে আমার গাঁয়ের গৃহস্থরা।


গাঁয়ের বধূ কলস কাঁখে জল আনতে যায়
অপর পাশে সই ডাকে এদিক চলে আয়।
দুই পাড়ের মানুষের মাঝে কত ভালোবাসা
হয়না কভু ঝগড়াঝাঁটি নেই তো মরন দশা।


ছাতার মতো একটি গাছ বট গাছ নামে চেনে
তারি তলে  সাধু বাবা তারে না কেউ মানে।
শিশুরা সব দল বেঁধে যায় আম কুড়িয়ে খেতে
বয়স্ক দাদুরা স্বপ্ন বুনে যৌবন ফিরে পেতে।


আমার গাঁয়ের মানুষরা সব সরল সোজা বটে
সব দিকেতে খেয়াল রাখে বিবাদ নাহি ঘটে।
হরেক পেশার মানুষ আছে চর চান্দিয়া গাঁয়ে
ডাক্তার,উকিল পেয়ে যাবে খুজলে ডানে বাঁয়ে।


কৃষক হতে শুরু করে ম্যাজিষ্ট্রেট আছে এখানে
সচিব পাবে,শিক্ষক পাবে খোঁজ নেবে যেখানে।
নিরক্ষর তবু নাই কেউ আমার নিপুণ গ্রামে
চর চান্দিয়া সবাই চিনে বললে এক নামে।


গাঁয়ের নদী আপন মনে চলছে অবিরত
চর চান্দিয়া গ্রাম যেনো শিল্পীর ছবির মতো।
পক্ষীরা সব গান গেয়ে যায় আপন আপন সুরে
গৃহস্থদের দিন কেটে যায় যে যার মতো করে।


বাংলাদেশের শেষ দক্ষিণে অবস্থিত এটি
বিশাল বড় এই গ্রামটি ফিরবেনা কারো দৃষ্টি।
কথায় আছে মা ও মাতৃভূমি স্বর্গের চেয়ে বড়
নিজ গ্রামের উন্নতি ভাই আপন হাতে কর।


১৬/৮/২০২২