স্বর্গ থেকে হঠাৎ করে উড়ে,
    ইচ্ছে হলো মর্ত্য দেখি ঘুরে;
ঘুরতে গিয়ে কিন্তু দেখি একি!
    হচ্ছে যা, তা ভোজবাজি সব নাকি!!


কয়েকটা লোক রাজা-উজির,
    তাদের হাতেই বল;
বাকিরা সব এলি-তেলি,
    সর্বহারার দল।


আইন-কানুন নেইকো কোথাও,
    উঠছে সবই লাটে;
থাকলে টাকা সকল কিছুই
    চাইলে পরে জোটে।


গরীব যেজন, কপালে তার
    অবহেলাই জোটে;
নুন আনতে পান্তা ফুরায়,
    গাধার মতো খাটে।


এতো খেটেও পায়না ওরা
    পরিশ্রমের দাম;
অবিরত ফেলছে তবু
    পায়ে মাথার ঘাম।


ওদের খাটা পয়সা গুলোই
    তিলে-তিলে মেরে;
টাকার উপর বাড়ছে টাকা
    বড়লোকের ঘরে।


গরীব আরো হচ্ছে গরীব,
    ধনী আরো ধনী;
কারো হাতে হরি-মটর,
    কারো টাকার খনি।


মাথার উপর নেইকো আকাশ,
    অট্টালিকার ঢল;
সবুজ মুছে চারিদিকে
    উঠছে খুঁড়োর কল।


ধনীর সেসব অট্টালিকার
    সীমানাও নাই;
গরীবেরা পাচ্ছে নাকো
    মাথা গোঁজার ঠাঁই।


এতো কিছু পেয়েও ধনীর
    কমছে নাকো লোভ;
গরীবগুলোর মধ্যে যে তাই
    বাড়ছে চলে ক্ষোভ।


চাইছি সে ক্ষোভ ফেটে পড়ুক
    দাবানলের মতো;
বহ্নিশিখায় হোক্ পুড়ে ছাই
    মলিনতা যতো।


গড়ে উঠুক নতুন করে
    নব-মানব দল;
ধনী-গরীব বিভেদ মুছে
    সাম্যবাদের চল।।