কিছু আয়ু বহন করেছি বলে
তুমি ফেলে দেওয়া ঠোঁট তুলে আবারও ঠোঁটে দাও।
ঝিরঝির করা এই বাবলা গাছ ,পড়ন্ত রোদ শোষা এই নদীর জল,বউ কথা কও পাখির  গানে ভিজে ওঠে চোখ।
আমার জন্য দেখলাম তুমি খুলে দিয়েছো সার্টের বোতাম।
বিশ্বাস করো আমি বুঝিনি তুমি সার্ট নয় খুলেছো ফটক ।
দেখলাম সারিসারি সৈন্যদল দাড়িয়ে তোমার বুকের উপর।
অস্ত্র ফেলে সব তাকিয়ে আছে আমার দিকে, ক্লান্ত শরীর নদী যদি হই।
তোমার একবুক সৈন্য হাতরে বলেছিলাম বিশ্বাস করো
সন্তান আমার । সন্তাপ আমার।
তিলে তিলে গড়ে ওঠা এই শূন্যখাত,
বিচ্যুতি এই,
মেঘমল্লার কারুকার্যে তোমার বুকে জমে যাক যত কান্নার জল।
শীতল ঝরনা এক ,গোমুখ এক ,মন্দির থেকে বেয়ে আসা শতশত সন্ধ্যা প্রদীপ।
থাক । থাক । সব জমা থাক । আমি ঠোঁট দিয়ে  বন্ধ করি ফটক।


আরো কিছু আয়ু জমা ট্যাপের জলে,
সম্রাজ্ঞীর বইয়ের পাতায়,দিয়ার রিংটোনে।
এলাচের ঘ্রাণে কিছু কথা উন্মাদ ,জলবায়ুর ভিন্নতায় উদভ্রান্ত পদ্য কিছু।
পার্বনী কিছু কথা সমাপ্ত হলে বহন করি ডাহুক পাখির অন্তরীপে জলজ গান।
কিছু আয়ু এখনও বহন করি বলে  কেটে গেলে ব্যথা পাই এখনও,
ধেয়ে আসে অনুচক্রিকার দল।
যতবিধ আয়ু সংযোজিত এ দেহের ভিতর ততবধি সংবেদনী অনুভব
নাহলে জন্মের মত এ অকাল মৃত্যুও হত সহজ...নির্বোধ  ।


প্রতিমা রায়বিশ্বাস