বাংলার তেরো শো ছয়-এর এগারোই জ্যৈষ্ঠ
বর্ধমানের চুরুলিয়ায় দুখের মাঝে দুখু হল ভূমিষ্ঠ।
বাজলো না মঙ্গল শঙ্খ,শোনা গেলো না জন্মক্ষণের আজান ।
এত দুখেও মায়ের মনে ডেকে গেল আনন্দের বান।
বাল্যকালেই বাপহারা সেই ছোট্টো দুখু পেল প্রবল কষ্ট।
অনেক অভাব অনটনে ও সেই ছেলেটি হয় নি লক্ষ্য ভ্রষ্ট।
লেখাপড়া হয়নি বেশী, ছিল যে গান এবং লেখার নেশা।
নিজের সুরে-গানে-লেখায় লেটোর দলে শুরু হল পেশা।  
পরাধীন মানুষ নিয়ে ছিল মনে অনেক কষ্ট,ভাবনা।
অবশেষে পেলো খুঁজে লেখার মাঝে নতুন আলোর ঠিকানা।
ছিল তখন দেশবাসী ব্রিটিশের পরাধীনতার শৃঙ্খলে।
বিদ্রোহী হয়েছে কবি অত্যাচার ও দাসত্বের তপ্ত অশ্রুজলে ।
স্বাধীনতার জন্যে তুমি লিখলে অনেক গান,অনেক কবিতা ।
বিষের–বাঁশী,অগ্নিবীণা, সর্বহারা ,দোলনচাঁপা ও সঞ্চিতা ।
এপার বাংলা,ওপার বাংলা সকলে তাকে ভাবে আমার আপন জন ।
শ্যামা সংগীত,ভজন,গজল,ইসলামীতে জয় করলে দুই বাংলার মন।
‘বিদ্রোহী’ এই নাম-যশেতেই দামাল ছেলের হল দারুণ ক্ষতি।
বিয়াল্লিশেই নিভিয়ে দিলো শাসক দল তার প্রখর স্মৃতি ।
গানের জলসায় নীরব হয়ে ’৭৬-এর ২৯ আগস্ট কোথায় গেলে তুমি?
রবিবার  সকাল ১০টা ১০-এ ,কাফন পরে রয়ে গেলে ঢাকার ভূমি চুমি।
.........