তুলসী গঙ্গা,
অদ্ভুত সুন্দর নাম !
তোমার মুখেই প্রথ্ম শোনা
নাম শুনে রমণীর কথা মনে পড়ে,
তবে কি গঙ্গা দেবীর আদুরে কন্যা তুলসী !
এ এক স্বপ্নবিলাসী কবির ভাবনা মাত্র।
নদী নিয়ে ভাবনার ভিন্নতা আছে  বৈকি ;
তুলসী গঙ্গা নিয়ে আমার ভাবনাটুকু
না হয় বেঁচে থাকুক অনন্তকাল।
নদীর কথা উঠতেই, তুমি বলতে :
নদী না ছাই, একটা মরা খাল।
বর্ষার কালো মেঘের মত হ্রদয় ভরা অভিমানের মেঘ
কথার বৃষ্টি হয়ে ঝড়ে ছিল সেদিন ।
শুকিয়ে যাওয়া নদীর প্রতি তোমার এতো অভিমান !
আর এই অভিমান থেকে জন্ম নেয় এক অকৃতিম প্রেম,
তুলসী গঙ্গার সাথে চলে আমার স্বপ্নিল সহবাস ।
কত দূরের অচেনা একটি নদী, তবু কেন এত চেনা !
আমি যেন তার তীর ধরে হেঁটেছি বহুকাল,
কাটিয়েছি মিষ্টি দুপুর,
কাটিয়েছি শরতের সোনালি বিকেল,
তার নিবিড় আলিঙ্গনে নিজেকে সঁপেছি যেন বহুবার ।
ইচ্ছে করে একবার যেয়ে দেখে আসি-
ছু্ঁয়ে আসি শান্ত জলের শীতলতা,
ছু্ঁয়ে আসি তুলসী গঙ্গার তীর-
যেথায় কেটেছে তোমার শৈশব থেকে কৈশর ।
শুনেছি এই তুলসী গঙ্গা একদিন ছিল ভরা যৌবনা !
ছিল পাল তোলা নৌকা, মাঝির গান,
জেলেদের জাল ফেলার শব্দ,
ছিল টেপ জামা পড়া এক কিশোরীর
নুপুর পায়ের রিনিঝিনি সুর ।
সেই তুলসী গঙ্গার তীর আজ বড় বেশী নিঃসঙ্গ ।
অশ্রু শূণ্য আঁখির মত হ্রদয় ভরা শূণ্যতা নিয়ে
দ্বাড় টানা জোয়ানের মত বড় বেশী  ক্লান্ত ।
যদি পার একবার যেয়ে দেখে এসো,
ছুঁয়ে এসো তোমার শৈশব আর কৈশর
আগলে রাখা তুলসী গঙ্গার বুক ।