পরিপূরক
_
আধখানা অন্ধকার
আধখানা আলো
কী অন্তরঙ্গ!
মন একটা সমুদ্দর
সেখানে মিশেছে
উওমাশা অন্তরীপ,
সেই মনে
অপর্ণাদেবীর ঘর
মন খারাপ হলে
যিনি খান ঘাস,
খান গাছের
কচি পাতা,
হৃদয় কখনো
অভয়ারণ্য,
আধখানা অন্ধকার
আধখানা আলো
কী অন্তরঙ্গ!
====
.
বোধোদয়
_
আমাদের একটাই চোখ, দুজনেই ব্যবহার করি।
আমি যখন দেখি; সে আমাকে সামলায়। সে যখন
দেখে; আমি তাকে সামলাই। যখন আমাদের
নিযুত
কোটি চোখ ছিল, জলবেষ্টিত ভূভাগে তার ছিল
রমরমা সময়। নিম্ব গাছের মতো ছিল ঝাঁকড়া
বিকেল।
সূর্যের কর্কটক্রান্তি রেখায় ছিলো তার
ওঠানামা। আর আমি,
পারদের জলাশয়ে শুয়ে-শুয়ে, গুনেছি তার
প্রতিক্ষায়
অজস্র দিন। টেরাকোটার মূর্তির মতো স্থির হয়ে
গিয়েছি,
একদম স্থির! আজ আমাদের একটাই চোখ। একটাই
স্বপ্ন। একাকার মন। ছোট হয়ে এসেছে আমাদের
পৃথিবী। দ্রুতগামী ইঞ্জিনের মতো হঠাৎ যখন
বিকল
হয়ে যাবে এই চোখটিও। অন্ধকার ঘরে আমরা
তখন;
নিজেদের খুঁজে-খুঁজে কাটিয়ে দেব অবশিষ্ট সময়!
===
.
তাপ
_
বগলের মধ্যে হাতটা ভরতেই হাত যেন
থার্মোমিটার। তোমার তোতলা টিয়েটার তো
বগলই নাই। তাপ মাপবো কোথায়? তোমরাতো
যমজ বোন, সিমটম সবসময় এক।
আর কোথায় কোথায় মাপবো তাপ তাই ভাবছি।
গরম তরকারিতে, বকের মতো ছোঁ মেরে,
আমারতো আবার আকাশে গা ভাসানোর
অভ্যাস। তোমার পাললিক চোখে যখন আগ্নেয়
লাভার জোয়ার আসে। আমি তখন হিমালয়
থেকে নেমে আসা কুলকুল নদী। পাশাপাশি বয়ে
চলি,
আমার নেই কোন উত্তাপ!
====
.
ব্যবধান
.
যেখান থেকে সে হেঁটে গেছে, বহুবছর পর,
সেখানেই ফিরে পায় তাকে। বাতির সরু
সলতের মতো, শুকিয়ে এসেছে হাত, পা,
অঙুল। চোখের ভেতর মাংসের পুরে
নেভানো আগুনের ছাই। মুখোমুখি তারা
তবে সমন্তরাল...
সবুজ ছুঁয়ে ছুটে যায় ট্রেন। দূরে বাজে স্বরগ্রাম।
সাত সমুদ্র জল.. তার সমানই প্রেম, কোথায়
বাধা পেয়ে, আজ শুষ্ক জলাধার। এক গ্লাস জল
চেয়ে এক মুহৃর্ত দাঁড়ালোনা সে!
====
.
পথে এসো
.
এঁটো খাবারের মতো নষ্ট করো।নষ্ট হই।
কবজ থেকে চিরকুট খুলে নিলে, যা হয়
আমিও তেমন।মানুষ কখন হয় নীলবর্ণ
কাঁচপোকা? ভালোবাসা ছাড়া দু'চোখ এখন
রক্তনীল নদী।দাও যত পারো ব্যথা দাও।
ঢালো বিষ ঢালো...
,
বৃষ্টি মাথায় যখন ছুটে যায় ট্রেন, কোন ধুলো
ওড়েনা।জীবনটা এভাবেই দেখি এখন।বহুদিন,
সুঁচের মতো তীক্ষ্ণ যন্ত্রণা সয়ে সয়ে, শুষ্ক হৃদয়ে
একবার নেমে গেলে পথে, কোন দুঃখ থাকে না!
====
.
এবং একটি বিতর্ক
.
একটি ধুরন্ধর কাক; এবং তার চিন্তাশক্তি...
যেমন তুমি।চায়ে তোমার অনাসক্তি। তবুও
বসেছিলে। পাশেই সেলুন। কর্মমুখর বিকেল।
দিনরাত চুল ছাঁটে গৌতম।তার শানানো
কেঁচিতে
টুকরো হতে থাকে আঁধার।
.
গৌতম গল্প শোনে। স্বাধীনতা গল্প । মানুষের
গল্প।
"মূলতঃ ৭ই মার্চেই, বঙ্গবন্ধু তার অগ্নিঝরা
ভাষণে,
পাঠ করেছিলো স্বাধীনতার মন্ত্র।এম .এ
হান্নান,
জিয়াউর রহমানরা, নির্দেশ মেনেছে মাত্র।"
.
কথা শেষ হলোনা, তার ফাঁকেই কেউ একজন
বাধসাধলো। চললো বিতর্ক।ঝড়ের মতো বিতর্ক।
শার্টের বোতাম ছিঁড়লো। কাঁচের জাগ, কাপ-
প্রিচ
ভাঙলো। পা থেকে ছুটে গেল চপ্পল।
.
শয্যা ছেড়ে উঠে এলো তোমার স্ত্রী। ছাগলের
তৃতীয় শাবকের মতো তোমার মেয়ে।তারা টেনে
ধরলো তোমাকে।তুমি হাত উঁচিয়ে প্রতিষ্ঠা
করেই
গেলে যুক্তি। কেউ শুনলো। কেউ শুনলোনা।
সন্ধ্যায় ঘরে ফেরা একঝাঁক পাখি, কেবল বয়ে
নিয়ে গেল বিতর্ক!
===
.
অন্য মানুষ
.
চোখের ভেতর মাটি আমার মনের
ভেতর কাদা
মাথার চুলে খরের গাদা জীবনটা এক
ধাঁধা।
.
নখের ডগায় সুঁচের বাড়ি হাতের
তালুই ক্ষুণ
মেরুদন্ড গেছে বেঁকে স্নায়ুর দেশে
ঘুণ।
.
বুকের রোমে পোড়া গন্ধ পেটে পাথর
জমা
ফুসফুসে আজ বিষের খনি আমার
নাইতো ক্ষমা!
.
নাকের ফুটোয় বরফ জমা কানের
দেশে জং
বিবেক নামক যন্ত্র ফেলে সাজছি
আমি সঙ।
.
কাঁধে আমার দুই ফেরেস্তা দু'জন ভয়ে
বাড়ি
আমার হিসেব তাদের কাছে পাহাড়
সমান
ভারি!
_
স্বরবৃত্ত
,