কবি হতে ইচ্ছে করে অনেকেরই৤ কবির সাথে কথা বললে, পরিচিত হলে অনেকেই নিজেও লিখেন বলে একটা জানান দেয়ার চেষ্টা করেন৤ মনে করেন একটা কিছু লিখলেই কবি হয়ে যায়৤ কবি হওয়া কত কষ্ট, চর্চা ও সাধনা সেটা যারা নিয়মিত করছেন তারাই অনুধাবন করেন মাত্র৤ স্বৈরশাসক এরশাদ সাহেবও কবিতা লিখতেন৤  এটা কেউ জানতো না৤ জানলাম যখন দৈনিক নব অভিযান পত্রিকায় কাজ করি তখন৤ অনেক কবিতা আসে কিন্তু ছাপা হচ্ছে না৤ মাঝে মাঝে খোঁজ নেয় ছাপা হলো কি-না৤ সাপ্তাহিক বিচিত্রা পত্রিকাতেও অনেক কবিতা পাঠাতো৤  সেখানে পাতাটি সম্পাদনা করতেন কবি শামসুর রাহমান৤ সাপ্তাহিক বিচিত্রায় কবিতার পাতায় লেখা থাকতো কবি শামসুর রাহমান সম্পাদিত৤ তারপর কবি শামসুর রাহমান ঢাকার শ্যামলীতে বাড়ী বরাদ্দ পেলেন৤ চাপে পড়ে সাপ্তাহিক বিচিত্রায় একটা কবিতা ছাপলেন৤ ঐ সময়ে সব গুলো দৈনিক পত্রিকায়  প্রেসিডেন্ট এরশাদের ছাপা হলো বেশ কিছু কবিতা৤ এরশাদ সাহেব প্রেসিডেন্ট, তার কবিতা বিভিন্ন দৈনিকে পাঠায়৤ কি আর করা বাধ্য হয়েও অনেক দৈনিক লেখা ছেপেছে৤ এই ভাবে প্রকাশ হলো এরশাদের কবি হওয়া৤


ঐ সময়ে ১৯৮৫ সালের দিকে কবি মোহাম্মদ রফিক ‘সব শালাই কবি’ শিরোনামে একটা কবিতা লিখলো। তার পর আর কি রফিককে ধরে নিয়ে গেলো ক্যান্টনমেন্টে। ১/২  দিন তাকে ছেড়ে দিল। তারপর ১লা বৈশাখে নববর্ষের অনুষ্ঠান আয়োজন করলো এরশাদ বঙ্গভবনে। সেখানে যোগ দিলো সব ডানপন্থী কবি।  সেখানে যোগ দিল কবি সৈয়দ আলী আহসান, কবি আল মাহমুদ, কবি আল মুজাহিদী, কবি আবদুল মান্নান সৈয়দ, কবি ফজল শাহাবুদ্দিন, কবি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, কবি শাহাবুদ্দিন নাগরী, কবি আবিজ আজাদ, কবি ড. আলাউদ্দিন আল আজাদ, কবি ইমরান নূর, কবি জাহাঙ্গীর হাবীবুল্লাহ সহ আরো অনেক ছোট খাটো কবিও যোগ দিয়েছে।