নীরব গল্পের কাছে বসে থাকি ভাবলেশহীন
দিগন্তরেখার দিকে চেয়ে দেখো শরতের রোদ খেলা করে
মাঠের প্রান্তরে, কাশফুলের উপর উড়ে যায় তোমার মনখারাপের নীলকণ্ঠ পাখি।
বিদীর্ন হৃদয় জুড়ে বিষাদের ক্ষত।
ক্লান্ত শরীর জুড়ে বেড়ে উঠছে অবসাদ।
তোমার ক্লান্ত কপাল জুড়ে ঝরে পড়ে ঘাম।
অজয়ের স্রোতে ধুয়ে দেব হৃদয়ের ক্ষত,
তোমার ফারুক রঙের ওড়নায় মুছে দেব ক্লান্তির ঘাম।
শহরের কার্নিশে তুলে রাখা তোমার যুবতী রোদের সুগন্ধি ঋতুদিনগুলি
আর দুগ্ধস্ফীত স্তন নিয়ে নিজেকে লুকাও —
সোনালী ধানের খোসার মত গর্ভগৃহে....
আমি দুহাতে ধরি নি পাপ –
এমনকি মনে বিশ্বাস রেখেছি তোমার প্রেমের কাছে।
আপন ভেবে একদিন যে হাত ধরেছিলাম, আজ ভাবি সত্যিই
সেই হাতে চাঁদ ছিল কিনা আজও আমি অজ্ঞাত।
অজয়ের পাড়ে শুনি বাউলের একতারায় ভাটিয়ালি গান
শোক জাগছে...
নিজেকে ঠকানো কিছু বিষাদের গান শুয়ে আছে শিরীষের পাতায়।