সকল বন্ধনের বাইরে আছো তুমি
চেষ্টা করেও গত দশ বছরে তোমাকে অক্ষর দিয়ে
রচনা করতে পারি নি।
কেমন করে কাটিয়ে দিলে একটা গোটা জীবন
ভিতু মানুষদের মাঝে যারা তোমাকে শাসন করে গেল এতদিন।
সমাজ আর সংসারের হাওয়ায় উড়ছে তোমার মলিন জামা।
তার ভিতরে তোমার মনে যন্ত্রণার কালশিটে দাগ।
আসলে তুমি নিজেকে চিনতে পারলে না,
তোমার কোনটা ভালো কোনটা খারাপ।
শামুকের মত নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছো নিজের ভেতর।
তোমার চেতনায় কোন আলো নেই, আলো নেই বলে জানলে না
কাকে বলে আলোর বর্ণের সমাহার।
তোমার অস্বাভাবিক জীবনবোধে জানলে না
জীবনের পরম্পরা কাকে বলে...
সুন্দরকে সুন্দর করে ব্যক্ত করতে পারলে না জীবনে।
আমি বৃষ্টি দেখি, আমি দেখি চুড়ি ভাঙ্গার গোপন শব্দ
তোমার ঘরভর্তি অন্ধকারে।
চতুর্দশীর চাঁদ অস্ত যায়, অনেক রাতে টালমাটাল পায়ে
তুমি বাড়ি ফেরো ক্লান্ত দেহটা নিয়ে। এলোমেলো বিছানা, চাদর।
বিছানায় এলিয়ে শরীর ঘুম আসে না চোখে।
অনেক রাতে পাখি ডেকে যায় কৃষ্ণচূড়া গাছে।
এ তোমার কেমন জীবনদর্শন যার সরণী বেয়ে নেমে এসেছে ঢেউ।