নিঃসঙ্গ সঙ্গিন কত পথ পার হয়ে ভাবি
সেই পথ পেরিয়ে আসিনি—
আরক্তিম অস্তরাগে
যার দুধারে ফুটেছে কিছু বন্যমাধবী।
নিঃশব্দ অভিমানে শুধু দিয়ে যায়
কিছু সুবাস, বাতাসে তার বিধুর সুরভি।
শুধু কি তাই। মনে হয়
অনতিক্রম্য সেই দিগন্তে আজও
যার দূর সুদুর সীমায়
আমার মায়াময় ছায়াছন্ন পৃথিবী।
যেখানে সবচেয়ে বেশী মনে পড়ে
আমার মায়াবিনী রমনীকে—
রজনীগন্ধার শ্বেতশুভ্র হাসি নিয়ে
আজও দাঁড়িয়ে আছে পথে
অনুভবে যার সংসর্গ পাই।
শুধু তার নির্লিপ্ত হাসি, রাত্রির ঘনিষ্ঠ আবহে
চুড়ির বাজনা হয়ে বাজে —।
ভালোবাসে নামে একটি দুর্দান্ত
চাঁদের কথা বুদ্ধ পূর্ণিমায়
শোনা যায়  বাঘমুণ্ডি পাহাড়ের
মাথার উপর দুষ্প্রাপ্য সেই চাঁদ।
তরুন যুবতীর ডাগর বুকের ঘ্রান
মিলেমিশে যায়।
এক ঢাল অমানিশার চুলের মধ্যে
চন্দ্রপ্রতিম মুখ—
তার পাতলা ঠোঁটে লেগে আছে
নিঃশব্দ হাসির উদ্ভাস।