তোকে ছেড়ে যে চলে গেছে
সে কি আর আসবে ফিরে—
বৈশাখী দুপুরের মত খাঁ খাঁ করে মন।
হিজলের বনে উদাসী বাতাস
তোকে করে উদ্বেল। ঘুঘুর ডাকে
তুই কেন দিস না সাড়া—
তোর পাংশুটে গাল থেকে ঝরে
গেছে জীবনের রং ।
তোর চোখে এখন বর্ষার আকাশ
ভেসে যেতে যাস কোথায় যাবি ।
যতক্ষণ বেঁচে আছিস ততক্ষণ নিঃশ্বাস।
নির্জন রাতের নীরবতা তোকে
দগ্ধ করে। পাশ ফিরলে বুঝতে পারিস
পুরুষের গন্ধ এখনও লেগে আছে  
তোর শাড়ীর ভাঁজে।
যে প্রঞ্জা শরীর নিয়ে তুই দাঁড়াতে যাস
স্তব্ধ জীবনের বালুতটে দাঁড়ায়ে –
অলীকের মত তৃষ্ণা ছড়ায় কণ্ঠে।
কলুষিত করে যারা তোর ভালোবাসা
চোখ বুজে সয়ে যাওয়া সে ও এক অপরাধ
তুই চেয়ে দ্যাখ মহানন্দার জলে
ভেসে যায় কাল..
হাতছানি দেয় আকাশের বুকে সুরম্য চাঁদ
তবে কেন তোর চোখে আসে জল।
এ বসুন্ধরা ভালোবাসার পীঠস্থান
সুন্দরের প্রতিধ্বনি তুলে
নিঃশব্দ নীরবতা ভেঙ্গে উড়ে যায় গাংচিল।
তুই নস্‌ সাধারন মেয়ে।
তুই কামনা বাসনার মানবী।
অযুত বছর ধরে আমি তোকেই খুঁজি
তোর নিরিবিলি অনামা সৈকতে।