তুমি সেই মেয়ে বৃষ্টির সঙ্গে
বড় হও প্রতিদিন।
ঝরে যায় রোদ গাছের পাতায়
বয়ে যায় খরস্রোতা নদী—
কাশ বনে দোলা দিয়ে তুমি
নিয়ে আসো সবুজ শ্রাবণধারা ।
তুমি সেই মেয়ে তোমাকে চেনে
সেন্ট পলস্‌ কলেজ, স্তব্ধ ক্লাশ রুম
তোমার উষ্ণ দু’ফোঁটা ঘাম ।
আজও জেগে আছে গভীর অরণ্য।
তোমার ঐ রূপের ঐশ্বর্য লাভাস্রোত বয়ে
যায় আমার উপর। তোমার নামে ঘণ্টা
বাজে শতাব্দী জুড়ে মধ্যাহ্ন আকাশে।
ফুলে ফেঁপে ওঠে এই মহানগরী।
তোমার দাঁড়িয়ে থাকা প্রতিটি মুহূর্ত
আমার রক্তমাংসে মিশে যায়।
কতখানি বাসনা তুমি পেয়েছিলে
জীবনে। নিঃশব্দ নীরবে কেঁপে ওঠে তোমার মন।
লাল-হলুদ সুতোয় বাঁধা পড়া
জীবন তোমার ঝরে যায় সোনাঝুরি বেলাভুমিতে।
সময়ের পরপারে এখন একাকিত্ব জীবন।
তোমার জানালায় আসে না রোদ
ফোঁটে না কোন ফুল
নুয়ে যাওয়া তোমার ছেলেবেলা মুখ
ঢাকতে ব্যর্থ আঙ্গুল।
বুঝি নি আমি
বিচ্ছেদের পর কি ভাবে তুমি এলে
আমার কাছে । তোমার আমার মতভেদের
মধ্যে এত শব্দ, এত দ্বিধা, এত সংশয়
সব কিছু তোলপাড় করে
নেমে আসে ঘোলাটে বর্ষা।
তোমার তপ্ত ঘ্রানের পাশে ঘুরে
দাঁড়ায় জীবাশ্বরাত।
আমি লিখে রাখি তোমার এই বিষাদ গাঁথা।
ভালোবেসে তুমি আমাকে করো নিঃস্ব।
তবু বশ্যতা ভালোবাসায়।
যেমন ফুলের মধ্যে পড়ে থাকে পরাগ
তেমনি তোমার স্তনের মধ্যে
লেপটে থাকে লকলকে জিহ্বার মৌন দ্বৈরথ।