বেহাগের সুরে গেয়ে ওঠো পরকীয়ার গান
চিরন্তনের প্রেমের চোরাস্রোতে ভেসে যায়
তোমার চুম্বন।
বেঁচে থাকার তাগিদ নিয়ে
প্রুতিশ্রুতি ক্ষয় করে তুমি
রাতের পর রাত অনিদ্রা যাপন করো।
স্বপ্ন দেখো বেঁচে থাকা জীবনের
না পাওয়া দুঃখ ব্যথা রাগ অভিমান।
হোঁচট খাওয়া জীবন মুষড়ে পড়ে
কোন অন্ধ কানা গলির ভিতর।
বুভুক্ষু সময় থমকে দাঁড়ায় আহম্মকের মত।
ঝলসে ওঠে হিরোশিমার বারুদ,
রক্তভুক আগুনের মত পুড়িয়ে দেয় তোমার মন।
তোমার নিটোল গালে খেলা করে ভয়ানক তীব্রতা।
তোমার বুকে ওঠা নামা করে সমুদ্রের ঢেউ
অর্ধ-শতাব্দী পার করা শরীর এখনও ঋজু
চুল খুলে আকাশের দিকে তাকিয়ে দ্যাখো
আকাশেতে রাঙা মেঘ নতুন ঋতু।
পরকীয়া প্রেমে বিভোর হয়ে সাড়া দাও তুমি
প্রেমের উষ্ণতাকে বুকে নিয়ে পথ হাঁটো
তুমি নারী।
কৃষ্ণচূড়ার ডালে দোলা দিয়ে তোমার
সূর্য হয় অস্তাচলগামী।
দ্বিধাশুন্য মনে ভাবতে থাকো
আশৈশব বেদনার অনুভব যত।
তবু তোমার ওষ্ঠে থেকে যায় নিরুত্তর
আজীবন অভিমানগুলি।
ভয়ানক শীতার্ত রাতে মৃণ্ময়ীর চোখে
চোখ রেখে স্বপ্ন দেখ তুমি পরকীয়া প্রেমে ।
তোমার কবিতার প্রতিটি শব্দের আত্মা
তোমার সম্পূর্ণ শরীরে মিশে আছে
শিরীষের ডালে বসে থাকা কূজনের মত
তোমাকে বেসেছে ভালো
সাড়া দাও হে অভিমানিনী...।