আমি দেখি তোমার মনে অরন্যের ছায়া
তোমার এই নিঃসঙ্গ অলস জীবন।
শঙ্খবলয়ের মধ্যে আবদ্ধ রাখো তুমি
শুধু চেয়ে দেখি –
অবিশ্বাস দুঃস্বপ্নের দুর্বোধ
তোমার জগৎ।
তোমার আকাশ অরন্যের পত্রাজালে
ছেয়ে আছে।
তারই মাঝে বর্ণহীন ক্ষুধাহীন
নিঃশব্দ সঞ্চরন
স্রোতহীন চেতনায় অরন্যের গহীন
গহ্বরে স্থিতু তোমার মন।
আজীবন আমি ব’য়ে ফিরি
সুগোপন এক অভিজ্ঞান প্রেম।
একা একা হেঁটে গেছি তোমার
মনের গভীর অরন্যে।
বিনিময় হল না আমার সেই
প্রেম অভিজ্ঞান।
তবুও তোমার বুকে জমে আছে-
কি দুর্ভেদ্য কঠিন আঁধার।
কি আদিম অন্ধ বিভীষিকা।
এ পৃথিবীর এ মধুর মায়া
এই সূর্যের অঢেল রোদ
পৌঁছয় না তোমার মনে।
কবে যেন রেখেছিলে স্নেহের হাত
আমার বুকে।
রাত্রি গভীর হলে সব দাগ মুছে দেখি
এখনও লেগে আছে দাগ হৃদয়ের কাছে।
তবু কি মনে পড়ে না তোমার
এই ভালোবাসা।
সলজ প্রিয়ার মত নিজেকে গোপন
রাখো অনিচ্ছা কৃপণের মত।
কবন্ধের মত পড়ে আছে সেই মহাকাল
তবুও স্তোত্র রচনা করি তোমার
চির মৌন হিমরাত্রি বিছায়ে বিছায়ে
উপবাসী চোখের পাতায়—
নিদ্রাহীন আমি।
সব ক্লান্তি দূর করে
স্পন্দিত হৃদয়ে শুনি অবিরাম
সময়ের পদধ্বনি।
আমার হৃদয়ের দুরন্ত স্রোতে
প্রতিবিম্বিত হয়
তোমার পরিচয়।
তুমি আমার অরণ্য।
তুমি আমার স্তব্ধ অরণ্য মর্মর।