আমি এক সাধারন মেয়ে
জন্মেছিলাম এক সাধারন ঘরে।
নিত্যদিন যেখানে ছিল
ক্ষুধার তাড়না, পারিবারিক কোলাহল।
ঝগড়া ।আর ধনী আত্মীয়ের তির্যক বাক্যবাণ।
এটাই ভাগ্যের বিধান বলে মেনে নিয়ে
বড় হলাম, জানতে শিখলাম আমাদের সমাজের –
বৈষম্য, অনাচার,অবিচার।


যে বয়সে আমার মত মেয়েরা ঘুরে বেড়ায়
সমাজের সবখানে । আমি হলাম বাধাগ্রস্ত
আর আমার চারপাশে নোনা জলের ঢেউ
দিন রাত আমাকে কুরে কুরে খায়।
এ ভাবেই আমি ফুটিয়ে তুললাম যৌবনকে।
আমি হলাম যৌবনবতী।
এক সবুজ স্বপ্নকে বাচিয়ে রেখে—
জীবনকে নতুন রঙে দেখব বলে
এই আশায় বাধলাম ঘর।
যেখানে ছিল স্নেহ, প্রেম, ভালোবাসা।  
বৃষ্টি ধারার মত প্লাবিত হয়েছিলো
আমার জীবন।


ক্ষণস্থায়ী সুখ জীবনে সইল কোথায়!
বৈশাখী মেঘের ধারায় ঝরে গেল
ব্যর্থতার দীর্ঘশ্বাস।
যার শরীরে শরীর গেঁথে
আমি আঁকতে চেয়েছিলাম স্বপ্নের মায়াজাল।
ঝড় ঝাপটায় অনড় আমি
আমার জীবনের চারিদিকে দাবদাহ
যে জীবনে নেই কোন ব্যুহমুখ।
যেখানে মৃতুরা করে হা-হুতাশ
যেন আমি প্রাচীন ধ্বংসের এক ধূসর দিনলিপি।
নিঝুম যন্ত্রণাকে বুকে চেপে
বৃষ্টি ভেজা অর্ধনগ্ন শরীরে আমার
ভীষণ জলোচ্ছ্বাস।