মেঘের ঢাকা তারার মাঝে
ভেসে ওঠে তোমার স্মৃতি,
আমার মানস চক্ষে তারই প্রতিছবি।
আমি তাকে নানা ভাবে ভাঙ্গি এবং গড়ি।
তোমার নিটোল মুখের পেলবতা আমাকে
নিয়ে যায় আমার জীবনের দিনগুলিতে ।
ময়ূরাক্ষী নদীর জলে আজও তার আওয়াজ শুনি—
আমার ১০ বছরের জীবন
আমার ১১ বছরের সঙ্গিনী।
আমি দীর্ঘ শীতঘুমে কাটিয়েছি অনেক বছর
আমার সোনালী বছরগুলো কেটেছে
নির্বাসিত কোলাহলে।
আমি সারা বছর বক বক করেছি
বড্ড চীৎকার করেছি মিছিলের আগে।
সম্রাট বিম্বিসারের কারাগারের সামনে আমি
গলা ফাটিয়েছি –
বের হতে দাও  আমার মোনালিসা আমার সঙ্গিনী।
আমার ১১ বছরের জীবন সঙ্গিনী।
কেউ শোনে নি আমার কথা
ভালোবাসার মুখে লাথি মারে
মুখ ফিরিয়েছে পশ্চিমের সূর্য
কার ভোরে উঠে আমি হেঁটে গিয়েছি
নদীর মাঝ বরাবর।
দেখা মেলেনি সেই নিহত ঈশ্বরের।
ভালোবাসা চুরির দায়ে যার হয়েছিল
কারাবাস।
মৃতের গন্ধ পেয়ে হায়েনাগুলো
ছুটে এসেছে বিবর্ণ সন্ধ্যায়।
শুধু হাহাকার দেখেছি-
আর দেখেছি তোমার অভিমান।