সেই সব দৃশ্য যা দৃশ্যমান হয়
তোমাকে দেখি আমি সেই দৃশ্যের ভিতর।
শরত হেমন্ত বসন্তের আলোর
জার্সি পরে তোমার ছায়া দেখেছি
হেঁটে যেতে কোলকাতার পথে
মেঘেদের মিছিলে কলরব তুলে।


আমি দেখেছি তোমায়
ঘুমন্ত কোন বৌদ্ধ  মনাস্ট্রির দেওয়ালে
প্রাচীন উপাসনা শব্দের পাশে গেঁথে থাকা
তোমার চোখের পাপড়িগুলো দমকা হাওয়ায়
কেঁপে ওঠে। লেখা আছে হিউয়েন সাঙের
কলমে ইতিহাসের পাতায়।


তোমাকে দেখেছি আমি ময়ূরাক্ষী নদীর বাঁকে
বৃষ্টির কলরোলে, নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে থাকো
কলমি ফুলের বাগানে।
দেখেছি তোমায় তাজমহলের গায়ে
নয়তো সাচিস্তূপের মিনারে,সেই ভাস্কর্য
ফুটে আছে তোমার শরীরে।
চুলে না গ্রীবায় না স্তনে।


তোমাকে দেখেছি আমি তরাইএর বনে
চিতা বাঘিনীর মত ছুটেছ পথে ও জঙ্গলে
ক্ষিপ্রতা ফুটে ওঠে চোখে।
দেখেছি তোমায় রাঙামাটি বীরভূমের
পলাশের বাগানে –
দামাল কোন সাঁওতাল রমণীর বেশে
গুঁজেছিলে ফুল খোঁপায়
এখন গন্ধ লেগে আছে ঠোঁটে।


আমার দৃশ্যের ভিতর আমি দেখি
সেই যুবকের হাতে তুলে দাও
তোমার পৃথিবীর ভার
ঠাণ্ডা পানীয় খাওয়ার ছলে
যে রোজ আসে তোমার কাছে।
নিঃসীম তমসার প্রথম ভোরের
মত আবিরের আলো মেখে
যুবকের হাত ধরে হেঁটে যাও
অনন্ত জীবনের পথে...