যাযাবর পাখী হয়ে উড়ে আসো
তুমি আমার জীবনে।
স্রোতস্বিনী নদী হয়ে বয়ে যাও ফল্গু ধারায়।
উজ্বীবিত করো আমাকে।
স্বপ্ন দেখাও বেঁচে থাকার।
ভালোবাসো ছুঁয়ে শুকে।
তুমি যখন চোখে চোখ রাখো
ঝড় ওঠে রক্তের ভিতর।
আমার কবিতারা খেলা করে তোমাকে ঘিরে।
নতুম উদ্দ্যমে গড়তে চেয়েছিলে
আঁকিবুঁকি আঁকা অনুভূতির আকাশ।
মাঝে মাঝে তোমার মনে পড়ে বিগত জীবন
অভিমান নেমে আসে তোমার শরীরের
অন্ধকার জুড়ে—
ভিতরে ভিতরে আমি বুঝতে পারি
তোমার রহস্যের পুতুল খেলা।
সাক্ষী দেবে এই শিশু গাছ,
তোমার বেদনা ভরা মুখ।
সেই আঁকিবুঁকি সুখী জলকণা
যা গাল বেয়ে ঝরে পড়ে অজস্র লিরিক হয়ে—
নিস্পলক আমি দাঁড়িয়ে আছি
তোমার দিকে তুমি আমার দিকে
অথচ আমরা কেউ কারও সঙ্গে কথা বলি না
ঝাপসা চোখে নেমে আসে একটা কষ্ট মুখ।
চাপ চাপ রক্তমেঘ নেমে শ্বাসরোধ করে তোমার।
কাচের মানবী তুমি-
ওই দূর নীলিমায় ধূসর দিগন্তে
তোমার মুক্তির শুন্যতা।