আমি জানি জীবন নশ্বর
তুমি রমণী নারী – তুমি কি অবিনশ্বর?
সেই আদিম যুগ থেকে পুরুষ তোমায় পূজে—
আমার এই নশ্বর জীবন ঋনী হতে চায়
তোমাকে ভালোবেসে।
বন্ধনপ্রিয়তা শিখি জীবনের কাছে।
ঈশ্বরের বানানো ভাস্কর্য তুমি
অম্লান গোলাপের মত ফুটে আছো
প্রাচীন কারুকার্য খাজুরাহ।
স্থির শিখা হয়ে উজ্জ্বল তুমি
আমার হৃদয়ের গভীরে।
দেখাও পথ তুমি প্রেরণাদাত্রী রমণী
সৃজনসুখে বহন করো সবুজ পতাকা
বিপ্লবে মিছিলে?
শুনেছি জীবন অনেক দামী —
বাঁধবে তুমি স্বছলতার ঘর
অযুত স্বপ্ন তুমি চোখে ভরো
কেননা অরন্যোপম উৎস থেকে
তোমার প্রবাহ।
হয়ত তুমি স্রোত বা তুমি স্রোতস্বিনী নও।
স্থান কাল নির্বিচারে ভেসে যায়—
গ্রাম। স্মৃতি, সভ্যতা।
তুমি রমণী নারী সৌন্দর্যর বিভা
মিথুনের শেষযামে শাড়িহীনা বিস্রস্তা।
জড়িয়ে থাকো আমার শরীরে।
তোমার গ্রীবার ভাঁজে ফুটে ওঠে
দূর্বার সুষমার মত শিশির সিক্ত
কুসুমিত ঘাম।
শীত গ্রীষ্মের জ্যোৎস্নাময় রাতে
কাম হয়ে নেমে যায় তোমার বুকের ঢালুতে।
আমার মরুব্যপ্ত শরীর জুড়ে ধারন করি
তোমার উচ্ছস্বিত আলিঙ্গন।