আমার ইচ্ছার বিপরীতে ভেসে যাও
তুমি বাতাসে।দূরে বহু দূরে
সুন্দরের তুলনাহীন ছায়ার তলায়।
দুরত্বের পীড়া অতিক্রম করে আমি
পৌঁছে যায় তোমার অক্ষাংশে –
যেখানে আমার আশৈশব সঞ্চিত ভালোবাসা
তোমাকে খুঁজে ফেরে।
আমার নিঃসঙ্গতা থেকে জন্ম নেয়
হাজার প্রজাপতির ডানা
উড়ে যায় তোমার সুখের ঠিকানায়।
আদিম কালের সন্ধ্যা নামে আমার জীবনে।
হেমন্তের শীতল ছায়ায় থাকতে থাকতে
আমার স্বাধীন দুঃখগুলো বকুলের ঘ্রাণ মিশিয়ে
তোমার ধ্রুপদী আঙিনা ব্যাপী
কণ্টকিত হয় হাহাকার আর অবহেলায়।
হয়ত কেটেছে তোমার মায়া মমতাহীন
সজল শৈশব।
নাকি আমার মত চেয়েছিলে ভালোবাসা
নাকি মানুষের কাছে প্রেম চেয়েছিলে।
জীবন যখন শুকিয়ে যায়
ভিজিয়ে নিও চোখের জলে।
মৃতপ্রায় মানুষের মত তোমার ওই
প্রাচীন দুচোখে ভরে নাও গোপন রোদ।
তোমার কথা ভাবতে ভাবতে পেরিয়ে
যায় অন্ধ ভাঙ্গা গলি।
অন্ধকার প্রেতের ছায়ার মত পার হয়ে যায়
তোমার ভুবনডাঙ্গার মাঠ।ক্যানেল ঘুরে দেখি
ময়ূরাক্ষীর বাঁকে রাঙ্গামাটির মল্লারপুর...
তোমার আমার কিছু কথা অকথিত থেকে যায়
প্রনয়ের সকল কথা বলেনা কোন রমণী।
ধর্ম নয়, ধ্বজা নয়, শব্দের গরিমাও নয়
তোমার প্রেমের প্রয়োজনে সারা গায়ে মাখো
ভালোবাসার রেনু।
তোমার এই ভেসে যাওয়া জীবনে
আমাকে মন্থন কর পুন্য জাহ্নবীর তীরে।
সন্ধ্যাসবিতার আলো একদিন পরিয়ে
দিই বিজয়িনী অপর্ণার চোখে।